কান নিয়েছে কান নিয়েছে .........
কে নিয়েছে ?
চিলে নিয়েছে............
সবাই দিক বিদিক চিলের পেছনে ছুটছে......
তো চিলটা কে ?
এই কান নেয়া চিল হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব............
কানটা হচ্ছে যুদ্ধপরাধের বিচার.........
খন্দকার মাহবুব বলেছেন যুদ্ধাপরাধের বিচার শেখ মুজিব আমলেই শেষ হয়ে গেছে।
তো.........বিচার কি বানচাল হয়ে গেছে ?
খন্দকার মাহবুব কি জাতি আলোড়ক কোন নেতা ?
তাকে কত জন চেনে ?
এই রকম মন্তব্য কি একটা হয়েছে ২০০৮ এর পর থেকে ?
আমার জানা মতে অসংখ্য মন্তব্য হয়েছে এই ধরনের.........
অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যুদ্ধাপরাধের বিচার বুঝি লাওয়ারিশ ল্যাম্পপোস্টে জ্বলতে থাকা ৬০ ওয়াটের একটা ফিলিপস বাতি যেটার কোন নেটেড কাভার নাই...........
মহল্লার দুষ্টছেলে খন্দকার মাহবুব মনে হয় যেন সুপার ইলাস্টিক গুলতি দিয়ে এমন এক ঢিল ছুড়ে মারলেন যে এই বুঝি ঠুনকো পাতলা কাচের বাতিটা ফটাস করে ফেটে গেলো......
২৫০ অধিক আসন নিয়ে আওয়ামি লীগ বর্তমানে ক্ষমতায়......
কেন তারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে দিচ্ছেনা ?
কেন শেখ হাসিনা এমন সুবর্ন সুযোগ হেলায় ফেলে দিচ্ছেন ?
উনি যদি আজ জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে দেন তাহলে বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতি হাঁফ ছেড়ে বাচবে...........
শুধু সেটাই নয় , প্রো লেফট এবং কট্টর আওয়ামি সমর্থকদের কাছে জামাত একটি বিষফোঁড়ার মতই যন্ত্রনা উপসর্গ......
যদি তিনি জামাতকে নিষিদ্ধ করেন ৮৬'র জাতীয় বেঈমানি , ৯৬'র তসবি-পটটি সহ নানারকম চিটিং বাটপাড়িতে ভরপুর শেখ হাসিনার প্রোফাইলে সম্ভবত এটাই হবে সবচেয়ে গৌরবজনক কাজ......
কারন আওয়ামি লীগ প্রায়ই বলে জামাত কি ইসলামের ইজারা নিয়েছে ?
তাহলে তাদের এই ইজারা নেয়া বন্ধ করে দিন......
অসংখ্য ধর্মভীরু সাধারন বাংলাদেশি মুসলিমদেরকে তারা যেভাবে দলে ভেড়ায় সেটা বন্ধ করে দিন......
কেন হাসিনা এই সুযোগ টা নিচ্ছেন না ?
কেন তিনি আওয়ামি মতাদর্শের অসংখ্য ভক্তের যন্ত্রনা উপশম করছেননা জামাত নামের বিষফোঁড়াটি কেটে ফেলে ?
উত্তর টা জানতে চান ?
কারন রাজনীতি হচ্ছে স্টান্টবাজির জায়গা.........
স্টান্টবাজি থেকেই বলা হয় আওয়ামি লীগ স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি যদিও সাভার স্মৃতিসৌধ নির্মান করেছেন জিয়া , হাসান হাফিজুর রহমান জিয়ার নির্দেশেই স্বাধীনতার দলিলপত্র সঙ্কলন করেন..............
স্বীকার করতে দ্বিধা নেই একই ধরনের স্টান্টবাজি থেকেই বলা হয় জিয়া আওয়ামি লীগের পুনর্বাসক...............
আপনি মানবেন সেটা ?
জানি মানবেন না...............
কেন মানবেন না ?
কারনটা বুঝতে বুঝতেও ঠিক বুঝে উঠতে না পারলে সেটা বুঝিয়ে দেই..........
শেখ মুজিব নিজের হাতে বাংলাদেশ আওয়ামি লীগ শব্দটিকে বাকশালের বর্শা দিয়ে নিহত করেছেন......
শেখ মুজিব নিজেও নিহত হয়েছেন......
তাতে কি বাংলাদেশ আওয়ামি লীগের মৃত্যু ঘটেছে ?
না , ঘটেনি................
কেন ঘটেনি ?
কারন বাংলাদেশ আওয়ামি লীগের ভোটারদের মৃত্যু ঘটেনি...........
একটা দলের ভোটারদের মৃত্যু যতক্ষন না ঘটে ততক্ষন দলটিরও মৃত্যু ঘটেনা......
শেখ হাসিনা নিজেও জানেন ৭০'র নির্বাচনেও আওয়ামি লীগ ১০ % ভোট মিস করেছে......
এই ভোট গুলো কাদের ?
জামাতপন্থিদের......
মুক্তিযুদ্ধের ঠিক আগেও যেমন তাদের ৭-৮% ভোট ছিল মুক্তিযুদ্ধের ঠিক অব্যবহিত পরেও ঠিক একই ভোট তাদের ছিল......
মুক্তিযুদ্ধের পরে জামাত মরে যায়নি , কারন তাদের ভোটাররা মরে যায়নি.........
ঠিক যেমনি ভাবে শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ মরে যায়নি , কারন তাদের ভোটাররা মরে যায়নি.......
জামাতের ভোটাররা যতদিন থাকবে ততদিন জামাতও থাকবে...........
শেখ হাসিনা খুব ভাল করেই জানেন এসব...
জামাতকে নিষিদ্ধ করে দিলে তারা নতুন মার্কা , নতুন নাম নিয়ে আসবে......
ঠিক তুরস্কের একে পার্টির মত...........
কোন কিছুই হের ফের হবেনা...........
মাঝখান দিয়ে হাসিনার রাজনীতির স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ স্টান্টবাজিটা মার খাবে......
জামাত তো নেই , এবার উনি কাকে গালি দেবেন?
বিএনপি উটকো ঝামেলা থেকে বেঁচে যাবে......
জামাত নামের সিন্দাবাদের ধুর্ত ধাড়ী বুড়োকে আর কাঁধে নিতে হবেনা......
তারচেয়েও বড় ঝুকিটা হল বাংলাদেশের প্রো রাইট ভোট তখন একচেটিয়া বিএনপি উপভোগ করবে.........
যেইসব সাধারন ধার্মিক মুসলমান বাংলাদেশিরা আওয়ামি লীগ থেকে ১০০ হাত দূরে গা বাঁচিয়ে চলেন তারা সবাই একজোট হয়ে বাই ডিফল্ট বিএনপি ভোটার হয়ে যাবে......
কারন তাদের ওয়াজ মাহফিলের মিষ্টি সুর শুনিয়ে দলে ভেড়ানোর সেয়ানা বাশিওয়ালা জামাত তখন নেই.........
ঠিক যেমনি ভাবে বাংলাদেশের প্রায় ১০০ তে ১০০ % প্রো লেফট ভোট এর কেক আওয়ামি লীগ একাই গেলে...
আর আম্বিয়া , ইনু , খালেকুজ্জামানদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়.........
ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই জামায়াত নিষিদ্ধ হয়ে যাক......
কেন চাই সেটা পরবর্তি একটা ব্লগে বিস্তারিত লিখবো......
জামাতকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে প্রো রাইট ভোট ব্যাংকের কিছুটা জামাতের কাছে থাকবে......
ডিভাইড অ্যান্ড রুল থিওরির এত মজা হাসিনা মিস করতে চান না !
“আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন দল নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে । কারন রাজনীতি করার অধিকার সবার রয়েছে..........”
কথাগুলো খালেদা জিয়া বলেছেন ভেবে কিছুক্ষন খিস্তি খেউর গালাগালি করে মনের সুখ মিটিয়ে নিন.........
তারপর জানুন বাকিটাঃ
...............তবে নির্বাচন কমিশনের আইন মেনে তাদের রাজনীতি করতে হবে। কেউ নির্বাচন কমিশনের নীতিমালার বিরুদ্ধে কিছু করতে চাইলে তা করতে পারবেনা। ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার তা নেবে নির্বাচন কমিশন । জামায়াত ইসলামীকে নির্বাচন কমিশনের আইন মেনে রাজনীতি করতে হবে.......
– গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২২ শে জুলাই , ২০১০ তারিখে জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত আওয়ামি লীগ সংসদীয় দলের বৈঠক
– কালের কণ্ঠ / ২৩ শে জুলাই , ২০১০ / শেখ হাসিনার বক্তব্য জামায়াত নিষিদ্ধকরণ বিষয়ে
প্রথম আলো / ২৩ শে জুলাই , ২০১০
তাহলে জামাতকে পুনর্বাসনের প্রশ্নটা আসে কিভাবে ?
ঠিক যেভাবে বলে মজা পান জিয়া জামাতকে পুনর্বাসন করেছেন ঠিক সেভাবে একই সিংগেল স্ট্যান্ডার্ডে এটা কি বলেন জিয়া আওয়ামি লীগকেও পুনর্বাসন করেছেন ?
কেন বলেন না ?
দয়া করে ডাবল স্ট্যান্ডার্ডের ত্যানা প্যাচাবেননা......
দালাল আইনের ব্যাপারে জিয়াকে দোষী করতে চান ?
হ্যা , করতে পারেন.........
তবে জিয়াকে দোষী করতে চাইলে যত বড় কথা বলতে হয় তত বড় মুখ আর কাজ আপনার আছে তো ?
কথাটা বললাম এই কারনে মিডল ইস্টে আজ যে ৭০০০০০০ শ্রমিক ঘাম ঝরিয়ে এদেশটাকে বাঁচিয়ে রাখছে ওদের সেই সুযোগটা করে দিয়েছেন জিয়া.........
পাল্লার একদিকে দালাল আইনের ছাড় , অন্যদিকে লাভের বাটখারা, বেশ ওজনদার বাটখারা , ৭০ লাখ শ্রমিকের চাকরি , ৩০ টা দেশের স্বীকৃতি......
মাপার সময় বাটখারাটা নিতে ভুলবেননা দয়া করে......
কারন এই আপনারাই একপাল্লায় যখন ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীকে বসানো হয় তখন অন্য পাল্লায় পাকিস্তান আটক বাঙালিদের বাটখারাটা বসিয়ে দেন........
এবং এটাও ভুলে যান যে শাহ আজিজকে সংগে নিয়েই বংগবন্ধু শেখ মুজিব হাসিমুখে ৭৪'র লাহোর ও আই সি সম্মেলনে গিয়েছিলেন.........
স্বাধীনতার পর যে বাংলাদেশ শব্দটি বিশ্ব সমাজে অনাদরে উপেক্ষায় ছিল তার অবসান ঘটিয়েছিলেন জিয়া......
আয়নায় তাকিয়ে দেখুন মধ্যপ্রাচ্যের সেই ঘামসিক্ত টাকায় আপনার পেটে অন্ন গলধকরন হয় কিনা ?
যদি হয়ে থাকে তো সে অন্ন আর গিলবেন্না.......
মধ্যপ্রাচ্যের ৭০ লাখ শ্রমিকের দেশেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আপনিই করবেন.........
আপনারই করা উচিত , বড় কথাটা যেহেতু আপনিই বলেন.......
কাজে বড় হন, বড় কথা বলার মত দেশ উদ্ধারক বড় কৃতিত্ব জাহির করুন......
তারপর জিয়াকে দোষী করুন.....
এই দেশটা হিপোক্রেটে ভর্তি.....
এখানে অনেকেই গায়ে টি শার্ট চড়িয়ে চে গুয়েভারা বনে যায়........
বিপ্লবি ভাবের হাওয়ায় ঝাকড়া চুলের বাবরি দুলিয়ে বাসায় ফিরে গেটের সামনে ১ টাকা নিয়ে রিকশাওয়ালাকে চোখ রাঙায়........
কাঁধে গাট্টি বোচকা চাপিয়ে পুজিতন্ত্রের বিশ্বমধুভান্ডার আমেরিকায় এসে মধু চেটে খায় আর পুজিতন্ত্রের ডলার ভাঙিয়ে কক্স , ভেরাইজোন ,এটিঅ্যান্ডটির নেটে বসে আমেরিকা টু বাংলাদেশ সমাজতন্ত্রের সাইবার মিসাইল লন্চ্ঞ করে...........ঠিসিয়া !
জিয়ার অবদানে বেঁচে থাকা অর্থনীতির মধুটা খেয়ে মুখ দিয়ে জিয়ার প্রতিই বিষ নিক্ষেপের চশমখোর নিমকহারামি অকৃতঘ্নতা করবেন না দয়া করে.........
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:৫৭