যে কোন সৃষ্টিশীল কাজ অথবা জীবিকার জন্য কাজ যে কোন ধরণের কাজ যা মানুষের কল্যাণ করে তা হচ্ছে আত্মার আনন্দ। এই আনন্দ সবাই অর্জন করতে পারে না, নিজেকে সুখী করতে পারে, নিজেকে নিয়ে থাকতে পারে, অপরকে শ্রদ্ধা ভক্তি সন্মান করতে পারে এমন মানুষ কজনই আছে পৃথিবীতে? নিজে কিছু করবে না আবার অন্য কাউকে কিছু করতেও দিবে না। নিজের গুন নাই অন্যের গুন কে দোষে সহজেই ডাইভার্ট করেই তাদের শান্তি।
এরা সবাইকে ডোমিনেট করার চেষ্টা করে, নিজেকে প্রভু অন্যকে ভৃত্য বানিয়ে রাখার চেষ্টা করে,অন্যকে অপমান নিজেকে সন্মানের সর্বোচ্চ চুড়ায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই চেষ্টা করতে করতে কি হয়? এই চেষ্টা করতে করতে যা হয় তা সুকুমার রায় তার ষোল আনাই মিছে কবিতায় বহু বছর আগেই বলে গেছেন।
আমার ভীষণ প্রিয় একটি কবিতা প্রথম ও শেষ অংশ তুলে দিলাম-----------
বিদ্যে বোঝাই বাবুমশাই চড়ি সখের বোটে,
মাঝিরে কন, ''বলতে পারিস সূর্যি কেন ওঠে?
চাঁদটা কেন বাড়ে কমে? জোয়ার কেন আসে?''
বৃদ্ধ মাঝি অবাক হয়ে ফ্যালফ্যালিয়ে হাসে।
বাবু বলেন, ''সারা জীবন মরলিরে তুই খাটি,
জ্ঞান বিনা তোর জীবনটা যে চারি আনাই মাটি।''
খানিক বাদে ঝড় উঠেছে, ঢেউ উঠেছে ফুলে,
বাবু দেখেন, নৌকাখানি ডুবলো বুঝি দুলে!
মাঝি শুধায়, ''সাঁতার জানো?''- মাথা নাড়েন বাবু,
মূর্খ মাঝি বলে, ''মশাই, এখন কেন কাবু?
বাঁচলে শেষে আমার কথা হিসেব করো পিছে,
তোমার দেখি জীবন খানা ষোল আনাই মিছে!''
এই ছবিটি তুলেছি বনানীর নৌবাহিনী সদর দপ্তর এরিয়ায় সম্ভবত। অনেক তাপদহ একটি দিন ছিল, জ্যাম ছিল, একটু বাতাসের জন্য জানালার কাঁচ সরিয়ে তাকাতেই এই দৃশ্য চোখে পড়লো, এত আগুন গরমে তাদের নিশ্চিন্তে ঘুম দেখে উপলব্ধি হল জীবনের প্রয়োজন বাঁচার টানাপড়েনের সাথে সাথে কমতে থাকে, টাকা যত থাকে ততই আকাশ ছোঁয়া শখ ইচ্ছা বাসনা। এক সময় সেটার পরিমান কমতে কমতে জীবিকার টানা পোড়েন বাড়লে মনেহয় একটু তিন বেলা খেতে পারলেই হল। প্রচণ্ড পরিশ্রমের পর আর কিছু চাওয়ার নেই পাওয়ার নেই শুধু একটু ঘুমাতে পারলেই স্বর্গের সুখ।
টেকনাফের সূর্যোদয় ঘন ঘন রঙ পাল্টায় এখানে। নজরকারা রঙ।
কখনও সময় আসে জীবন মুচকি হাসে
ঠিক যেন প’ড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা
অনেক দিনের পর মিলে যাবে অবসর
আশা রাখি পেয়ে যাবো বাকি দু-আনা৷
---- সুমন চট্টোপাধ্যায় এর গান।
তিনটা ছবিই একই সময় একই স্থানে তুলেছি, কিন্তু তিনটা ছবিই অন্যরকম, সমুদ্র অঞ্চলের প্রকৃতি বিচিত্র ।।
বেলি ফুল
সমুদ্রের ঢেউ, সমুদ্রকে ইদানীং বেশি বেশি মিস করছি।।
ক্যামেরা নিকন ডি ফাইভ ওয়ান জিরো জিরো, ট্রাকের উপর ঘুমন্ত মানুষদের ছবিটা মোবাইল দিয়ে তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৫