জাপানে দিন দিন আত্মহত্যার পরিমান বাড়ার কারনে বিশেষ করে করোনা মহামারির সময়ে গত অক্টোবরের জরিপেই দেখা যায় আত্মহত্যা করেছেন ২ হাজার ১৫৩ জন, করোনায় গত শুক্রবার পর্যন্ত মারা গেছেন ২ হাজার ৮৭ জন, করোনার ভুগে মরার মৃত্যু থেকে ইচ্ছা মৃত্যু বেশি হওয়ায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা একাকীত্ব মন্ত্রণালয়ের গঠনের ঘোষণা দেন। জাপানের প্রথম একাকীত্ব মন্ত্রী তেতসুশি সাকামোতো।
জাপানের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সারাবিশ্বের মানুষ। আধুনিক যুগের কারনে মানুষ নিজের মতন একা একা বসবাস করতে করতে, কারো সাহায্য ছাড়া বিপদে আপদে একা চলতে চলতে, অতিরিক্ত কাজ করতে করতে নিজের জীবনের উপর ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়াই সহজ মনে করেন তাদের জন্য।
এখন মন্ত্রী তেতসুশি সাকামোতোর কাজ হল এই সকল মানুষের “অবসাদ, একাকীত্ব কাটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া তাদের বিনোদনের ব্যাবস্থা করা, কাজের পরিমান কমিয়ে দেয়া, তাদের মনের ভার লাঘব করে দেয়া। ভালো পদক্ষেপ।
বিশ্বের মধ্যে ইচ্ছা করে মরে যাওয়া লোক নাকি জাপানে বেশি, এটা কিন্তু জোর দিয়ে বলা যায় না, কারন এসবের জরিপ সব দেশে হয়না বলে জানা যায় না, কোন দেশ জরিপ করলেও প্রকাশ করেনা,জাপানে আত্মহত্যার তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার তথ্য প্রকাশ করা হয় বেশ বিলম্বে।
যুক্তরাষ্ট্রে এ সংক্রান্ত তথ্য সর্বশেষ ২০১৮ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল তারপর এরা এসব ব্যাপারে একদম চুপ। এখন ঐ সকল দেশের বাংলাদেশি প্রবাসি যাদের এই তথ্য জানা নেই তারা বলবে “আমরা কত ভালো দেশে বাস করি দেখছো আমাদের আমেরিকা লন্ডনে তো আত্মহত্যাই হয়না আমরা তো স্বর্ণ দিয়ে ব্রেকফাস্ট করি। আত্মহত্যা করো তোমরা গরীব বাঙ্গালী জাতিরা শুধু।''
জাপানে কিন্তু আত্মহত্যা করার জঙ্গল ও আছে, জঙ্গলটার নাম হল অকিগাহারা, ৩৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই বন থেকে প্রতিবছর গড়ে একশ জন মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এখন জাপানের প্রথম একাকীত্ব মন্ত্রী তেতসুশি সাকামোতোর প্রথমেই উচিৎ ঐ জঙ্গলে অবসাদ্গ্রস্ত মানুষের দল বল নিয়ে যেয়ে আত্মহত্যার পার্ককে বিনোদন পার্কে রূপান্তর করা। দুনিয়ায় এই জিনিস যে আর কোথাও নাই এটা ভালো ব্যাপার।
ছবিঃনেট
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৪