সুয়া উড়িলো উড়িলো... জীবেরও জীবন সুয়া উড়িলো রে.........লা-মোকামে ছিলাই সুয়া.. আনন্দিত মন, ভবে আসি পিঞ্জিরাতে হইলা বন্ধনের মানে একদম এই রকম হয়ে গেলো যে ভবে আসা মানে একদম বন্দী হয়ে গিয়ে ঐসকল রুলস মানুষ ফলো করতে থাকে যা প্রকৃতি প্রদত্ত, কখন ঝড় আসবে কখন বৃষ্টি আসবে কখন নতুন সাইক্লোন যশ সাহেব এসে আঘাত করবে সব কিছু, এই যে এই মুহূর্তে আমি যা কিছু ভাবছি আই থিংক প্রকৃতি আমার মাথার ভেতর ঢুকে এই সকল শব্দ ঢুকিয়ে দিতেছেন, কতক্ষন হাসতে হবে কতক্ষন কাঁদতে হবে সব কিছু প্রকৃতির কম্যান্ড।
একবার এক মানুষের চোখে বিজ্ঞ একজনরে বললাম অমুক অমুক অমুক আমার সাথে লিটারাল্লি পা এ পা দিয়ে ঝগড়া করতে চাইতেছেন, আমার ইচ্ছা করতেছে এইগুলারে একটা উচিৎ শিক্ষা দিয়া থামিয়ে দেই, মানুষের চোখে বিজ্ঞ লোক বললেন হে অবুঝ; বোকা বোকা কথা বলে আমাকে বিরক্ত করোনা, তুমি যা করতেছ তারা যা করতেছে এইগুলা কেউ কিছু স্ব ইচ্ছায় করতেছে না, এইগুলা হবারই কথা তাই হচ্ছে, সব কিছুর একটা রেজাল্ট থাকে ভালো মন্দ থাকে, ওদের শিক্ষা দেবার জন্য তোমাকে কিছু করতে হবে না যা হবার এমনি এমনি হবে। দুনিয়াতে আসলে নিজস্ব বলে কিছু নাই কোন কিছুই না। সুয়া উড়িলেই সব শেষ, সুয়া না উড়ার সময়টুকুই শুধুমাত্র সে পিঞ্জিরাতে বন্দী।
সেই বন্দী জীবনে থাকতে থাকতে সে ভাবতে থাকে সে সবার থেকে বেশি ভালো ও স্বাধীন জীবন যাপন করছেন, যারা যা কিছু বলছেন ভুল বলছেন শুধু নিজের ভাবনাই সঠিক। এই সঠিক চিন্তা থেকে সে নিজেকে ফেরেশতা বা তার থেকেও ভালো মানুষ ভেবে অন্যায় করেন ভুল করেন আবার ফাঁকে দুই একটা ভালো কাজ করে জীবন অতিবাহিত করেন।
সেই কারনে একই মানুষ কারো চোখে সেরা আবার কারো চোখে পৃথিবীর সেরা খারাপ।
কয়দিন আগে একবার ৬০০ লোকের পাসপোর্ট ছবি তুলে দিয়েছিলাম বেশিরভাগ খুশি তাদের রুপ নিয়া ছবিতে যা আসছে। কিন্তু একজন আমারে বলল সে যতটা সুন্দর তা আমি ছবিতে তুলে ধরতে পারিনাই। ঠিক ঐ মুহূর্তেই একজন এসে তার জীবনের এ যাবতকালের সেরা ছবি আমি তুলে দিয়েছি বলে পারেন না পা ছুয়ে সালাম দেন। এইখানে এই ভবে বন্দী জীবন এবং একই কর্মকাণ্ডের দুই রকম ফিডব্যাক ও সমান ভাবে বিদ্যমান। কেমন আছেন সবাই পৃথিবীর বন্দী পাখিরা?
ছবি আমার তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৬