আর দুইদিন পর ডিসেম্বরের সাথে সাথে বছরটা শেষ।
বছরটা কেড়ে নিলো মাথার উপর বজ্রপাতের মতন হঠাৎ প্রিয় ভাইকে, আমি যে দুঃখের সাগরে ভাসতে ছিলাম পুরা বছর জুড়ে সেটা ভেবে এখন ক্লান্ত লাগছে।
লেবু চা বানিয়ে কাঁচের স্বচ্ছ কাপে ঢেলে দেখছি শেষ বিকেলের সোনালী রোদ চিকচিক করছে জানালায়।
তোমার দেখা নাই অনন্ত কাল ধরে, এই ব্যাপারটাও বড় একটা কষ্টের কারন।
এত সব অভাব নিয়ে ঠান্ডা মাথায় মানুষ ভালো থাকে কি করে? একটা প্রজাপতি ভুল করে ঢুকে পড়েছে ঘরে, কিছুক্ষণ উড়াউড়ি করে সেও ক্লান্ত হয়ে বসে আছে আমার পাশের দেয়ালে মন ভারী করে।
ছায়ার ভিতর ঝরছে ফুলের পাপড়ি। তোমার দুঃখ হবে ভেবে আমার এলোমেলো চুল চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল ঢেকে রাখি হাসিমাখা মুখে।
আগামীতে এই সময় সব শোক কাটিয়ে উঠবো সময়ের সাথে সাথে হাঁটতে চলতে নানা সমস্যায় বর্ণে; গন্ধে; চিন্তায় কিংবা টুকটাক সুখে; মেমোরি লুজ হয়ে অটোমেটিক।
শুধু শুধু ভাগ্যের দোষ আর কত দেয়া যায়! বছরটাই খারাপ।
পৃথিবীর সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী। প্রতিটি সম্পর্ক, প্রতিটি মুহূর্ত, এমনকি আমাদের অস্তিত্বও। স্বপ্নের ভিতর বিশ্রী ভাবে কিছু লিখতে না পারার পর অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে লিখতে চেষ্টা করতে করতে; কিছুই লেখা হয়ে ওঠে না; সাদা খাতা হাতে নিয়ে পরীক্ষার সময় শেষের শেষ ঘন্টাটা পড়ার আতঙ্কের মত টাইম লুপের রেজাল্ট হলো পৃথিবীর একেকটা নতুন বছর।
গাছপালা, নদী, পশুপাখি সবারই টাইম লুপে বিচরণ।
বৃথা মায়া বাড়ানো যে যেখানে আছে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে।