প্রায় ৬/৭ বছর আগে রবীন্দ্রনাথের 'নৌকাডুবি' উপন্যাসটির সারসংক্ষেপ শুনেছিলাম...তখনই উপন্যাসটি পড়ার জন্য আমি খুবই আগ্রহী হই। তবে উপন্যাসটি পড়া হয়েছে এই বছর ...
এগুলো বলার জন্য লিখছিনা...উপন্যাসটি পড়ার পর আমার মনে কিছু প্রশ্ন এসেছে ঠিক প্রশ্ন না কিছু ভাবনা বলা যায়।
সেই ভাবনা নিয়ে বলার আগে উপন্যাসটির সারসংক্ষেপ বলে নিই(যদিও জানি উপন্যাসটি সকলের পড়া আছে )
......রমেশ এম.এ পাশ করার পর তার বাবা তাকে গ্রামে নিয়ে যায় তার বিয়ে দেয়ার জন্য। বিয়ে শেষে গ্রামে ফিরে আসার সময় বরযাত্রী নদীতে ঝড়ে পড়ে..প্রায় সকলে মারা যায়। রমেশ ও তার নববধূ এক দ্বীপে উঠে বাঁচে।অতঃপর কলকাতায় এসে তারা সংপার শুরু করার িুদিন পর রমেশ বুঝতে পারে তার স্ত্রী আসলে তার নয় ার স্ত্রী পরিবতর্ন হয় গেছে। এরপর থেকে রমেশ কমলার (তার পরিবর্তিত স্ত্রী) স্বামীকে খুঁজতে থাকে....অবশেষে আরো ঘটনা পরিক্রমায় অবশেষে কমলা তার স্বামী নলিনীকান্ত খুঁজে পায়...এবং উপনযাসের শুভ সমাপ্তি......
এবার আমার ভাবনাগুলো বলি.....
নলিনীকান্ত তার স্ত্রীকে বিনাবাক্যে মেনে নেন যদিও তার স্ত্রী প্রা এক বছর অন্য পুরুষের সংসার করেছে.... নলিনীকান্ত এটা কিভাবে পারলেন...প্রেম বিশ্বাস??? সত্যিই কি প্রেম এত মহান ?প্রেম মানুষকে সত্যিই এতটা বিশ্বাসপরায়ণ করে তুলে?? এই বিশ্বাস কি বাস্তবে পাওয়া যায়?? মনে হয় না...শুধু উপন্যাস বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
তবু ভাবতে ভাল লাগে এমন বিশ্বাস এমন প্রেমের কথা....হয়তো কখনো সৌভাগ্য হবে না এমন বিশ্বাস এমন প্রেমের স্পর্শ পাওয়ার....না হোক এই উপন্যাসগুলো থেকে সেই স্পর্শ পেয়ে যাব সারাজীবন...
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




