মুসলিম বিশ্বের সব চাইতে বড় দুটি উৎসব ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সময়ের হিসেবে আজ পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হলেও পবিত্র ঈদুল আযহা আগামীকাল(বুধবার) বাংলাদেশের মানুষ পালন করবে। ঈদ মানেই অনাবিল আনন্দের পরশ,মনের মত করে ঘুরে বেড়ানো ইত্যাদি ইত্যাদি।রহমত-মাগফিরাত-নাজাতের ঈদুল ফিতরের আনন্দে শরীক হওয়ার সামর্থ্য সবার কোন না কোন রকম ভাবে একটু হলেও থাকলেও আত্মত্যাগের ঈদুল আযহার আনন্দে শরীক হওয়ার সামর্থ্য সবার থাকেনা আমাদের দেশে।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের তথ্যমতে এবার সারা দেশে এক কোটি ছাগল,৮০লাখ গরু,তিরিশ লাখ ভেড়া,২০লাখ মহিষ এবং কিছু উঠ জবাই হবে।সারা দেশে এক কোটি ছাগল,৮০লাখ গরু,তিরিশ লাখ ভেড়া,২০লাখ মহিষ এবং কিছু উঠের জবাইকৃত মাংস নিয়ে উৎসব যখন অনেক বাসা বাড়িতে তখন অনেকের ঘরে ১কেজি চালের সাথে সিদ্ধ হচ্ছে কয়েকটি আলু।যাদের কাছে ঈদুল আযহার আনন্দ শুধুই কল্পনা মাত্র।তাজা মাংসের স্বাদ যাদের বছরে কয়েকবার মিলে রাজনৈতিক কোন নেতার মৃত্য বার্ষিকী কিংবা কোন বড়লোকের মৃত্য পরবর্তী যেয়াপতে।
এক কোটি ছাগল,৮০লাখ গরু,তিরিশ লাখ ভেড়া,২০লাখ মহিষ এবং কিছু উঠের এই মহাউৎসবে সামর্থ্যবানদের একটু সদিচ্ছা দরিদ্র মানুষগুলোর মাঝেও এনে দিতে পারে ঈদের আমেজ।অধিকাংশ মানুষই কোরবানের মাংস ফ্রিজে মাংস জমিয়ে রাখে।এই মাংস জমিয়ে রাখার কালচার কখনোই কোরবানের আত্মত্যাগের সাথে যায়না।এই জমিয়ে রাখার কালচার থেকে বেরিয়ে এসে প্রকৃত আত্মত্যাগে সামিল হতে কোরবানীর মাংস সমাজের দরিদ্র মানুষগুলোর মাঝেও বিলিয়ে দিন।আপনার একটু সদিচ্ছা অনেকেই আলুর সাথে তাজা মাংসের স্বাদও দিবে।
বাংলাদেশে এখন শীতকাল।অনেকের ঘরেই অনেক শীতের কাপড় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে ।যা অবহেলায় ঘরে পড়ে থাকে।কিন্তু হাজার হাজার মানুষ শীতের সাথে যুদ্ধ করতে ছালার বস্তা শরীরে জড়িয়ে নেয়।আসুন নিজেদের ঘরে ছোট্র করে একটু অভিযান চালিয়ে জমে থাকা অব্যবহৃত কাপড়গুলো আশ পাশের দরিদ্র মানুষগুলোর মাঝে বিলিয়ে দেয়।
আসুন,কোরবানীর মাংস দরিদ্র মানুষগুলোর মাঝে বিলিয়ে দিয়ে ঈদ আনন্দে শরীক করার পাশাপাশি দারিদ্র মানুষগুলোর হাতে শীতের কাপড় তুলে দিয়ে মেতে উঠি অন্যরকম এক ঈদ আনন্দে।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত সহ ব্লগার এবং ব্লগ কৃতপক্ষ সবার প্রতি রইল ঈদের শুভেচ্ছা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




