কয়েকদিন আগে ভদ্রলোকের মেসেজ পেলাম ইনবক্স এ। কিছু ছবি পাঠিয়েছেন তাতে তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন, আমার বান্ধবী কত নষ্টা, কিভাবে "পর পুরুষের" গলা ধরে ছবি তুলেছে।
তিনি এবং আমার বান্ধবী ভালবেসে একসময় ঘর বেঁধেছিলেন। কালে কালে সম্পর্কের উষ্ণতা কমতে শুরু করে। এক সময় যে সম্পর্ক ফুটন্ত পানির মত টগবগে ছিল তা আস্তে আস্তে বরফ হয়ে গলতে গলতে বয়ে চলে যায় জলধারা। পরিণাম বিচ্ছেদের সামাজিক ঘোষণাপত্র একখানা ডিভোর্সলেটার নামক সব চেয়ে নিষ্ঠুর এক চিঠি।
ত, যখন এই ঘটনা ঘটে তখন তার পিছনের কারণগুলোকে মাখন,সস মাখিয়ে লোভনীয় করার মানুষের অভাব হয় না। আর দুজন মানুষ, দুটি পরিবার রীতিমত যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় কিভাবে অন্যকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হিসেবে অন্যের কাছে পরিচিত করানো যায়। সত্যি বলতে সম্পর্ক ভাঙতে সব চেয়ে বেশী অবদান রাখে এই তৃতীয়পক্ষরাই । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেশী শিকার হয় মেয়েরা কারণ তাদের চরিত্রের পর্দাটা সাদা বলে রঙ মাখানো দারুণ সহজ।
এমনটা প্রেমের সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলেও হয় দেখেছি। কিন্তু কেন এই অশ্রদ্ধা? এ কি সেই মানুষ নয় যার সাথে শুয়ে শুয়ে জ্যোৎস্না দেখার জন্য আপনি স্বপ্ন দেখেছেন? বৃষ্টির শব্দ শুনতে চেয়েছেন? তাকে সাথী করে নিজের রক্তবীজ রেখে যেতে চেয়েছেন কোন অপত্য সন্তানের মাঝে?
কল্পনার আকাশে আলাদিনের পাটিতে তাকে নিয়ে কি কখনো ভাসেননি? খুব দু'জন নিখুঁত মানুষও এক সাথে সংসার করতে পারে না, সম্পর্ক বয়ে নিতে পারে না।
এজন্যই সম্পর্ককে "কেমিস্ট্রি" বলে, যেখানে ভিন্নধর্মী মানুষ মিলে একক কিছু একটা হয়ে যায়।
আপনার এক্স যার সাথে একান্ত সময় কাটিয়েছেন, ভালবেসেছেন তাকে সম্মান করাটাও দায়িত্ব। তাকে অন্যের কাছে কুৎসিতভাবে উপস্থাপন করে প্রমাণ করবেন না যে আপনি আসলেই ছেড়ে দেয়ার উপযুক্ত ছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৯