সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী palmerston এর একটা কথা আমার বেশ প্রিয়, সেটা হল সীমান্তের বাইরে কোন স্থায়ী শত্রুমিত্র নেই, সেখানে জাতীয় স্বার্থই মূখ্য।
কূটনীতি সম্পর্কে যারা খোঁজ খবর রাখেন তারা ভাল করেই জানেন যে বাংলাদেশ গত কয়েক বছর যাবত এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান ক্রমাগত শক্তিশালী করে চলেছে।
একটা শিশুকেও বেড়ে উঠতে সময় লাগে। তাই আজ চাইলে আজই হয়ে যাবে, এমনটা না ভাবাই শ্রেয়।
তিন দিক দিয়ে ঘিরে থাকা ভারত আমাদের শক্তিশালী প্রতিবেশী। গ্রাম্য প্রবাদে বলে বউ পরিবর্তন করা সহজ কিন্তু প্রতিবেশী নয়।
প্রতিবেশীর সাথে যুদ্ধ করে ভাল থাকা সম্ভব নয়, বরং বন্ধুত্ব এবং সম্মানজনক অবস্থান দিয়েই যার যার স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে চলা সম্ভব। বাংলাদেশ সেই পথেই চলছে ।
সমুদ্র সীমা নিয়ে ভারতের সাথে প্রথমে কিন্তু বাংলাদেশ দেন দরবার করেছিল, পরে আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে গিয়েছে ।
তিস্তার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ অনেকবার প্রস্তাব রেখেছে, চুক্তি না হলে পরবর্তী কূটনীতি কোন দিকে গড়াবে সেই বিষয়টা নিয়ে যথেষ্ট প্রজ্ঞা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে বলেই আমি বিশ্বাস করি।
মমতার আচরণে যদিও মমতা ছিল না, মোদীও তার সংবিধানের ধারা মোতাবেক দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেন নি, কিন্তু তার মানে এই নয় যে বাংলাদেশের সুযোগ এই ই শেষ।
বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণিত করে বুকের পাটা দেখিয়ে পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থে হচ্ছে।
সামনে আরও অনেক কিছুই হবে। আমাদের দরকার সহনশীল অপেক্ষা।