তথ্যদূষণ ! হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন। শব্দ , পানি, বায়ু মাটি এসব দূষণ তো আছেই তাই বলে তথ্য দূষণ ?
Yes we need to think about information pollution.
প্রতিদিন কত শত তথ্য, ভিডিও ছবি না চাইতেও আমাদের চোখের সামনে এসে হাজির হয়? এই ভিডিও না দেখলে জীবন বৃথা, এই ভিডিও দেখে হাসতে হাসতে অজ্ঞান হয়ে যাবেন এমন অসংখ্য ভিডিও দেখার পর মনে হয় না যে, বৃথা সময়টাই নষ্ট হল?
এই মেসেজ ২৫ জনকে না পাঠালে ফেইসবুক বন্ধ, ১০ বার এই নাম জপলে আজ রাতেই রিটার্নসহ স্বর্গের টিকিট !
এর পর চেক ইন বেড়ানোর ছবি ত আছেই কোন একটা জায়গায় গেলে এত সেলফি, পোস্ট দেয়া শুরু করি যেন এভারেস্ট আমরাই জয় করেছি। আমরাই আবিষ্কর্তা কলম্বাস !
ফটোশুটের এই যুগে বিয়ে হওয়া মানেই সেরেছে, নব দম্পতি এবং পরিপার্শ্ব এর আমরা সবাই ছবি, সেলফি নিয়ে কয়েকদিনের জন্য হয়ে যাই সব চেয়ে বড় দূষক।
আমাদের চোখ নিরবিচ্ছিন্নভাবে দেখে চলে আর সেই সুযোগে অপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলো আমাদের সময়টুকু ডাকাতি করে নেয়।
২০১৬ সালের এক নিউজে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে যে ফেইসবুক গড়ে আমাদের ৫০ মিনিট করে সময় নিয়ে নেয়। ব্যক্তিবিশেষের জন্য তা যে আরও বেশী তা প্রমাণের জন্য গবেষণার দরকার নেই।
ওয়াটস আপ, ইউটিউব, ইমো, স্কাইপ............কত সময় নিয়ে নেয়?
নোটিফিকেশনের সেই টুট টুট, লাল হয়ে থাকা নাম্বার ! দেখার জন্য মনটা প্রেমিকাকে প্রথম চুমু খাওয়ার মতই উসখুস করে যেন।
স্বামী স্ত্রী পাশাপাশি শুয়েও যোজন যোজন দূরে থাকে। লাইকের লোভ যেন টাকা আয় করার মতই তাড়িত করে আমাদের।
আমাদের সময়ের সব চেয়ে বড় অংশ কেটে যায় তথ্যদূষণ সৃষ্ট ব্যস্ততায়। আর এই উদ্বায়ী জালে আটকে আমরাও আর বাস্তবতায় থাকি না। ফেসবুক, ইউটিউবের তাতে অ্যাড বাবদ ব্যবসা বাড়ে।
কিন্তু আমাদের? কয়েক মিনিট সময় নিয়ে মায়ের খোঁজ আর নেয়া হয় না। আত্মীয়ের কুশল জানা হয় না। এসব মিডিয়ার অসংখ্য ভাল দিক আছে কিন্তু আমাদের নিজেদের বোধ হয় ব্যবহারের মাত্রা নির্ধারণ করা দরকার। নিজেদের জন্য “আত্মনিয়ন্ত্রণ নীতি” তৈরি করার সময় এসে গেছে ।
বর্তমানই বাস্তব, অতীত অপরিবর্তনীয়, ভবিষ্যৎ অভবিতব্য স্বপ্নের ন্যায়।
আমাদেরকে বর্তমানে বেঁচে থাকতে হবে। উদ্বায়ী অন্তর্জালে নয় ।