জগদীশ্বর ঈশ্বর তুমি, কোথায় বেঁধেছো ঘর
কোথায় সুখে নিদ্রিত আছো, বলো হে অবিনশ্বর।
চিতার আগুন, মনের আগুন, দুটোই মিশে একাকার
ভষ্ম হয়ে উড়ছে কেবল, নিদারুণ হাহাকার।
ভাগ্যের চাকা বড় আঁকাবাঁকা, কোথায় যে তার শেষ
কোথায় গিয়ে থামবে পথিক, কি আছে তার পরিশেষ।
দয়াহীন সংসার, নাই পারাবার, তবুও যুগে যুগে আসা যাওয়া
কত শত রুপে, কত শোকে তাপে, একাকি তরী বাওয়া।
কত মহামারী, কত প্লাবন, কত যে অনাবৃষ্টি
চারিদিকে কেবল, ত্রাহি ত্রাহি রব, পৃথিবী হারায় সৃষ্টি।
মৃত্যুর মিছিলে আমরা সবাই, বেঁচে থাকা বুঝি দায়
কবে যে হবে সাঙ্গ জীবন, ভাবি বসে নিরালায়।
বুকের মানিক হারায় যেজন, বুঝো কি তার বেদনা?
চোখের জলে ক্রন্দসী কাঁপে, কে দেবে এসে সান্ত্বনা।
মাতা-পিতাহীন শিশুটি যখন, ঘুরে মরে পলে পলে
অবুঝ বাসনায় জাগায় আশা, একাকি অন্তরালে।
একমুঠো সুখ পাবার আশায়, যৌবন ফুরায় দুঃখে
জীবনপ্রদীপ নিভে যায়, তাও হাসি ফুটে না মুখে।
তবু,
ফরিয়াদ জানায় দুয়ারে তোমার, কিবা মসজিদ-মন্দির
মুক্তি পাবে তিক্ত দুখের, ঘুঁচবে সকল তিমির।
তাই,
সৃষ্টি খোঁজে, স্রষ্টার দয়া, চেয়ে রয় নির্নিমেষ
ক্ষমা করে সব ভূলভ্রান্তি, করো হে এবার অভিনিবেশ।
মর্মে দাও, নিবিড় বাণী, সত্য সমীরণ
হৃদয় বিলাও করুণাধারা, করি তব আজ অবগাহন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৮