পথিমধ্যে বনচ্ছায়ে পউষের আবেশে,
মৃদুমন্দ হাওয়া বয়, সরল নিঃশ্বাসে।
তারই মাঝে দুটি শিশু, খেলাধুলার রত
পুতুলের বিয়ে হবে, আনন্দ কত।
সারাদিন ধূলিসম পথের বুকে,
অশান্ত মোহে খেলা করে, যুগান্তরের সুখে।
ধুলি জমে চোখে, মুখে, আর ধুলো দিয়ে মনে,
পালিয়ে বেড়ায় বাবা, নিত্য হুতাশনে।
স্নেহহীন দুটি চোখ, এড়ানো যে দায়,
কবে জানি বলে উঠে, বাবা! মা কোথায়?
অসহায় জলরাশি, ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে,
কি করে বলবো তাদের, তাকে হারিয়েছি চিরতরে।
ঘুমের ঘোরে, খেলার ছলে, একটা শুধুই বায়না,
মা এনে দাও, মা এনে দাও, আর যে প্রানে সয়না।
মৌন দুঃখের অন্তরালে, অভিমান জমে বিষাদে,
পরাজিত এক বাবার কাছে, করুন আর্তনাদে।
শুনে সব বায়না, বাবা বলে, শুনরে বাছা ওরে,
মা যে গেছে শ্বশুড়বাড়ী, পুতুল কনের ঘরে।
নিশুত রাতে আসবে সে যে, বসবে কাছে এসে,
নয়না চুমে সোহাগ দেবে, বুকের কোলটি ঘেঁষে।
এমনিভাবেই নিতুই আসে, আঁধার স্রোতে ভেসে,
অগাধ জীবনে পায় নি তারে, পেয়েছে দূর্বা ঘাসে।
ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু, জলছবি এঁকে মনে,
অভাগা আমার পথ চেয়ে রয়, বসিয়ে হৃদ-আসনে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫