পরজন্মের প্রত্যাশা নেই, তবু আসবো আবার ফিরে,
হয়তো মানুষ, নয়তো পাখি, নতুন কোন নীড়ে।
চিনবে তুমি? আমায় তখন, শিমুল ঝরা দিনে,
বাজবে বেহাগ, প্রাচীন সোহাগ, অস্তরাগের ক্ষণে।
সাজিয়ে রেখো বরনডালা, নরম ব্যাকুলতায়,
একটু চাওয়া, একটু শরম, একটু স্মৃতির মায়ায়।
নতুন রুপে, পুরনো তুমি, মাটিতে পড়বে ছায়া,
চিবুক তুলে দেখবো তখন, অবগুন্ঠিত মহামায়া।
পড়বে কি মনে?
নির্মেঘ রাতে, নক্ষত্রের সাথে, কেটেছিল কত যামিনী,
শুক্লাতিথীর চাঁদ জাগতো শয়ানে, গন্ধ ছড়াতো কামিনী।
তুমি আমি দু’জন, নয়নে নয়ন, স্নিগ্ধ বাতায়ন,
চাওয়াটা শুধু যুগলপ্রণয়, আর কন্ঠে সমর্পণ।
পারবে কি তুমি?
হাজার লোকের ভীড়টি ঠেলে, খুঁজে নিতে আমায়?
গত জন্মে, যার প্রেমেতে, দুলেছিলে দারুণ পিপাসায়।
সঁপেছিলে মন, নিভৃতে নির্জন, কেউ জানেনা কারে,
সঙ্গোপনেই ভাসিয়েছিলে তুমি, পদ্ম পাতায় মোড়ে।
এই জনমের মর্ত্যলীলায়, স্বপ্নেরা হয়েছে খুন,
ভাগ্য লিখেছেন, ভাগ্যবিধাতা, তুমি ছাড়া সুনিপুন।
তোমার পায়ে বাজে নূপুর, অন্য ঘরের কোনে,
মরমরিয়ে উঠে ব্যাথা, প্রনয় মিলায় প্রয়ানে।
ধূলিধূসর মেঠো পথে, হেটেছি কতই নগ্ন পায়ে,
তিমির রাত্র, চুমছে হৃদয়, লুকায় ব্যাথা নিরুপায়ে।
তাই,
আশাতুর হৃদয়, পরতে পরতে, স্বপ্নের জাল বিছায়,
পরজন্মের প্রত্যাশা নিয়ে, আসবো আবার ধরায়।
ভ্রমরের মত নিমগ্ন হবো, পুষ্পমধু ভালোবাসায়,
চিরহরিৎ প্রেমে সাজাবো গৃহ, থাকবে না কোন অন্তরায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬