গৌরনদীতে দুর্বৃত্তর ভয়ে রাত
জেগে গ্রামবাসির পাহাড়া
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা বার্থী ইউনিয়নে হিন্দু অধ্যর্ষিত বাঙ্গিলা গ্রাম। এ গ্রামে গত এক মাসে একাধিক গৃহে দুর্বৃত্তরা বিষাক্ত স্প্রে করে পরিবাবারের সবাই অচেতন করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া প্রতিদিন রাতে বিভিন্ন গৃহে হানা দেয়ায় গ্রামবাসির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। আতঙ্কের ফলে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে এলাকাবাসি রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছেন। এ সংকটে শুধু বাঙ্গিলা গ্রামই না এখন পার্শ্ববর্তী চাঁদশী ইউনিয়ন সহ আশপাশের সকল সংখ্যা লঘুরা। শুধু সংখ্যা লঘুরাই না এর আতঙ্কে রয়েছে পুরো গৌরনদীবাসী। দ্রুত এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলে ঘটেযেতে পারে আর অনাকাঙ্খিত সব ঘটনা। প্রশাসনের এখনই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ পুরো গৌরনদী বাসীর। দুরবৃত্তকারীদের ধরতে এখনই তৎপরতা শুর করা জরুরী। এই ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
রামসিদ্ধি বাজারের ব্যবসায়ী ও বাঙ্গিলা গ্রামের বাসিন্দা লক্ষন কুন্ডু বলেন, ‘গত ৯ আগষ্ট গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা আমার বসত ঘরের টিনের বেড়া কেটে বিষাক্ত স্প্রে করে আমাকে ও পিতা-মাতাসহ আমার স্ত্রীকে অজ্ঞান করে নগদ ২০ হাজার টাকা, স্বর্নলংকার, দু’টি মোবাইলসহ দুই লক্ষাধিক টাকার মূল্যমান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। একই গ্রামের রনজিত নন্দী বলেন, এর কিছু দিন পূর্বে একই ভাবে আমারসহ আরো দু’টি পরিবারের সবর্স্ব লুটে নেয় দুর্বত্তরা। এ ছাড়া স্বপন দাস, মিহির দাস ও অলিল মোল্লার ঘরের বেড়া রড দিয়ে খুলে ফেলার সময় পরিবারের লোকজন টের পেয়ে ডাকচিৎকার দেয়। ডাক চিৎকারে দুর্বৃত্তরা লোহার রড ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে আমরা নিরাপত্তাসহ চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।’
বার্থী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য খান নজরুল ইসলাম লাভলু বলেন, ‘সংখ্যালঘু অধ্যষিত বাঙ্গিলা গ্রামে অজ্ঞান পার্টির দৌড়াতœ বেড়ে যাওয়ায় সংখ্যালঘু পরিবারের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ফলে গত বৃহস্পতিবার মাইকিং করে এলাকাবাসিদের নিয়ে সভা করি। পরবর্তীতে প্রতি ঘর থেকে একজন করে সদস্য নিয়ে পাহাড়ার ব্যবস্থা করি’।
পাহাড়াদার শাহাজালাল সরদার, উত্তম নন্দী, তাপস মন্ডল বলেন, আমারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছি।’
স্থানীয় আবুল কালাম খান বলেন, বাঙ্গিলা গ্রামে অন্তত ৬০ টি হিন্দু পরিবার রয়েছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশি পাহাড়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।’
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলাউদ্দিন মিলন বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা কমিউনিটি পুলিশ ও এলাকাবাসিদের নিয়ে সভা করে পাহাড়ার ব্যবস্থা করি।’