কখনও কিছু লিখতে গেলে, জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে বসলে, প্রার্থনায় গেলে, ইত্যাদি সময়ে মস্তিষ্কে যা কিছু আছে সব কিলবিলিয়ে বেড়িয়ে পড়তে চায় উক্ত অসময়ে; ব্যাপারটা কিছুটা বমি উদগিরণ হওয়ার মতন।
বমি ঠেকিয়ে রাখলে যে অবস্থা হবে, ঠিক সেই তোলপাড় অবস্থা সৃষ্টি হয় মস্তিষ্কে কিন্তু, যেহেতু বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা হচ্ছে অভ্যন্তরে, তাই ঐ মিসাইল উৎক্ষেপণের খোঁজ কারও কাছে পৌঁচ্ছছে না। একেবারেই পৌঁছে না বললে ভুল হবে! নিকটে যদি ঘনিষ্ঠ কেউ থাকে তাহলে হয়তো আক্রান্ত ব্যক্তির হাবভাবে কিছুটা আঁচ করলেও করতে পারে তবে, সম্ভবনা ক্ষীণ। কারণ আক্রান্ত ব্যক্তি যদি যারপর নাই, অনুভূতি শূন্য হয় তবে, তার থেকে কোন বাহ্যিক প্রকাশ অমাবস্যার চাঁদ দেখার মত।
'মস্তিষ্কের বোঝা' খুব বেসামাল উপাদান, বিশেষ করে 'বোঝার উচ্ছিষ্ট'। অন্যসব জিনিসের মতই সেসব গলে, পঁচে, পোকামাকড় হয়, দুর্গন্ধ ছড়ায়, এবং ধীরে ধীরে দেহ তরীর সকল কলকব্জা, যেমনঃ রক্ত, হৃদয়, লিভার, কিডনি ইত্যাদি সমস্ত ক্ষেত্রে আক্রমণ চালায়। যা বিশ্রী একটা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়া।
সুতরাং মস্তিষ্কে ভার বহন করা থেকে সাবধান থাকতে হবে। যেহেতু আমরা মানুষ, না চাইলেও অযাচিতভাবে কিছুনা কিছু ভ্রুকুটি আঁচড়ে পাচড়ে উঠে পড়বেই, সেইজন্য শত্রুকে পরাক্রান্ত করার মিসাইল তৈরি করতে হবে, এবং তা যদি হয় পারমানবিক তাহলে সোনায় সোহাগা। কিন্তু কিভাবে? "প্রাণায়াম" চর্চার মাধ্যমে।
"প্রাণায়াম" কি?
সুনির্দিষ্ট আসনে, নির্দিষ্ট মুদ্রায়, শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে করা ব্যায়াম হচ্ছে প্রাণায়াম, যা যোগ ব্যায়ামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা এমন অস্ত্র যা সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে, কেউই অনুমান বা অনুভব করতে পারবে না যে, এর শক্তি কতখানি! আমার কথা শুনে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য না করে, ধৈর্য নিয়ে সঠিকভাবে শিখুন। কারণ এই ক্ষেপণাস্ত্র সকল ব্যক্তির থাকা উচিত, নিজের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে।
সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, এই ব্যায়াম প্রায় সকলেই করতে পারেন। কিন্তু শুধুমাত্র শিখে ক্ষান্ত হলে চলবে না। আপনাকে অবশ্যই সঠিকভাবে শিখে, তা নিয়মিত চর্চা করতে হবে, এবং এর কোন অন্যথা নাই। 'নিয়্যত, চেষ্টা, চর্চা, প্রার্থনা, সম্মিলিতভাবে সাফল্যের চাবিকাঠি।'
'প্রশান্তি' নিজের ভিতরেই। সেই প্রশান্তির সাধনা নিজেকেই করতে হবে। সেই সাধনার জন্যে প্রয়োজন কিছুটা সময়, অধ্যাবসায়। সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমি আছি, অনেকেই আছে। শুধুমাত্র আপনার একটু সচেতনতা, ইচ্ছে, সময়, প্রয়োজন। শুভ কামনা!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৮