অখণ্ড অবসর। একথাটা মাথায় এলেই বুকটা ধড়ফড় করে উঠছে। অথচ, ক'দিন আগেও কাজ থেকে একটু ছুটির জন্য মনটা আঁকুপাকু করে উঠতো। কাজের ব্যস্ততায় ভুলেই গিয়েছিলাম অবসরের আসল মানে কী। আর এখন...
বিবি-বাচ্চা আমার বাপের বাড়ি। আর আমি তার বাপের বাড়ি। জীবনের থুক্কু, করোনার কি অদ্ভূত খেল! করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এবং বাঁচাতে আপাতত এটাই সবচাইতে উত্তম পন্থা।
অফিস টানা দেড়মাসের ছুটি। ছুটি উইথ বেতন-বোনাস। কিন্তু, করোনা পরবর্তি পৃথিবীতে বেঁচে থাকলে আদৌ কর্ম কিংবা কর্মস্থল থাকবে কি না তা ভেবেই মনে হচ্ছে অবসরের বারোটা বাজিয়ে দেয়া সম্ভব।
রবিনসন ক্রুসো পড়েছিলাম ক্লাশ সেভেন এ। বয়োঃসন্ধিকালে তখন স'বে প্রবেশ করেছি। ঠিক সেসময়টিতেই মনের ভেতরটাতে বড্ড নাড়া দিয়েছিলেন রবিনসন সাহেব। অন্তর্মূখি এই আমি ধরেই নিয়েছিলাম, চারপাশের মুখগুলোর আক্রমণ থেকে বাঁচতে এর চেয়ে ভালো জীবন তো হতেই পারেনা।
শূন্য দ্বীপ। অগুণতি নীরবতা আর আমি। জীবন নাকি একটিবারের জন্য হলেও সাধ পূরণের কিছুটা সুযোগ করে দেয়। দেখা যাক্, এই দেড় মাস কি বয়ে নিয়ে আসছে আমার জন্য। তবে, কাজ থাক্ না থাক্, অকাজের ঘ্যান-ঘ্যান এই করোনানামচা নিয়ে হাজির হবো প্রতিদিন।