প্রথম যেদিন রাজনহত্যা কাহিনী
পড়েছি সেদিন সত্যিই নিজেকে খুব
অপরাধী মনে হয়েছে। অবশ্য সেই
সাথে অবহেলিতও মনে হয়েছে।
নিজেকে অপরাধী মনে করার
কারন, আমি থাকতে কিভাবে
একজন ১২ বছরের শিশু নির্মম
অত্যাচারে মৃত্যুবরন করেছে।
হাস্যকর শুনাচ্ছে তাইনা? আমি
এখানে নিজেকে প্রতিনিধী হিসবে
উপস্থাপন করেছি। হ্যা, আমি
অপরাধী। আমরা অপরাধী।
কারন, আমাদের অবহেলাই অবুঝ
শিশুটিকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে
দিয়েছে। আমরা নিজেদের মানুষ
হিসেবে জাহির করি। তবে তা
মনুষত্যহীন মানুষ।
মনুষত্যবোধ আছে এমন একজন
মানুষের দৃঢ় অবস্থান হয়তো
কতিপয় দোপেয় জানোয়ারের
নির্মম রোষানল থেকে শিশুটিকে
বাঁচাতে পারত।
উচ্চ বুদ্ধিসম্পন্ন দোপেয় জীব
হিসেবে এটাই আমার হীনতার
কারন। কুকুর, কাক প্রভৃতি
ঘৃণিত জীবও একের বিপদে অপরে
এগিয়ে আসে। কাধে কাধ মিলিয়ে
মোকাবেলা করে। আর আমরা
উচ্চ বুদ্ধিসম্পন্ন দোপেয় জীবেরা
নিজেকে নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত
থাকি, যে আপরের বিপদ আমাদের
গন্ডারসম মোটা চামড়া ভেদ করে
মস্তিস্কে আলোড়ন তোলে না।
অবশ্য, "চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে" এমন
লোক দেখানো অনুভুতির বহিঃপ্রকাশ
আমার দোপেয় জীবেরা
হর -হামেশাই দেখিয়ে থাকি।
আমার ভাবনার উদ্রেক এখানেই।
.
আমরা মানুষ! নাকি কেবলই দোপেয় জানোয়ার।