প্রচলিত পদ্ধতিতে জ্যামিতিক নকশা আঁকার জন্য কম্পাস, চাঁদা ও স্কেলের পাশাপাশি আরও অনেক কিছু লাগে। কিন্তু এসবের বদলে একটি মাত্র স্কেল দিয়েই সব আঁকাআঁকি করা সম্ভব। রাজধানীর বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক মোন্জুরুল হক এ স্কেলটির উদ্ভাবক। নিজের নাম অনুযায়ী তিনি স্কেলটির নাম দিয়েছেন ‘মোন্জুর স্কেল’।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গতকাল এই স্কেলের উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোতাহার হোসেন। তিনি এই স্কেল বাজারজাত করার জন্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোন্জুরুল হক এটিকে বিশ্বের সর্বকালের সহজতম জ্যামিতিক নকশা আঁকার স্কেল হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক পরিবার আছে, যাদের পক্ষে তাদের সন্তানদের প্রতিবছর কিংবা সারা জীবনে একবারও একটি জ্যামিতি বক্স কিনে দেওয়ার সুযোগ হয় না। এ ছাড়া জ্যামিতিক নকশা আঁকার জন্য কম্পাসসহ অনেক কিছু লাগে, যা দিয়ে বাচ্চাদের মারামারি করে চোখ অন্ধ হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া জ্যামিতি বক্সের একটি জিনিস হারিয়ে গেলে সবই আবার কিনতে হয়। অনেকেই দাম দিয়ে আরেকবার কিনতে পারে না। এসব ভাবনা থেকেই তিনি স্কেলটি উদ্ভাবন করেছেন। এর দামও ১০ থেকে ২০ টাকার মধ্যে রাখা সম্ভব।
গণিতের এই শিক্ষক বলেন, স্কেলটি দিয়ে কেবল জ্যামিতিক নকশাই নয়, সূক্ষ্ম ও জটিল সব আঁকাআঁকিও করা সম্ভব। এরই মধ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিসিএসআইআর এই স্কেলকে স্বীকৃতি দিয়েছে বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে তিনি এই স্কেল দিয়ে বৃত্ত, কোণ, সম্পাদ্য প্রভৃতি এেঁক দেখান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেন, মোন্জুর স্কেল তাঁকে মুগ্ধ করেছে। সরকারিভাবে যাতে এর প্রসার ঘটানো যায়, সে জন্য তিনি সব রকমের সহায়তার আশ্বাস দেন।
(প্রথম অালো থেকে নেয়া )

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




