প্রখ্যাত আইন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের বক্তব্যের জবাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, সাহারা খাতুন হচ্ছেন আইনের মহাপণ্ডিত। বিশ্বের সব আইন তার মুখস্থ। তিনি নিজের জীবন-যৌবন বিসর্জন দিয়ে আইন বিষয়ে গভীর পাণ্ডিত্য অর্জন করেছেন। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়েছেন আর কোন আদালতে কোন ধরনের মামলায় শুনানি করেছেন, এটা আমি জানি না! দেশবাসীও জানে কিনা সেটা বলতে পারব না।
বিরোধী দলের ডাকা হরতাল ঠেকাতে সরকার সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত নামিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শুনানি ছাড়াই তাত্ক্ষণিকভাবে বিভিন্ন মেয়াদে একতরফা সাজা প্রদান করে। হরতাল ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত নামানোর বিষয়টি অবৈধ ও বেআইনি বলে মন্তব্য করেন দেশের প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তিনি ছাড়াও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংস্থা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. এম জহির ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বেআইনি বলে মন্তব্য করেন। তাদের এ বক্তব্যের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের নাম উল্লেখ করে তাকে আইন পড়ার পরামর্শ দেন। আইন-কানুন পড়ার পর এ বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য সাহারা খাতুন ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে পরামর্শ দেন। সাহারা খাতুনের এ পরামর্শে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রবীণতম এই আইন বিশেষজ্ঞ বলেন, আইন পেশায় ৫০ বছর পার করে এসে এখন আইন শেখার জন্য সাহারা খাতুনের কাছেই যেতে হবে। এটাকেই বলে কলিকাল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




