মেয়েটি বলেছিল ছেলেটির পাশে থাকবে সব সময়।
ভাগ্যে থাকলে ছেলেটির সারাজীবনের সঙ্গী হবে মেয়েটি।
আজ ১০ ই মাঘ ছেলেটির বয়স আজ ৬২।
বয়সের ভাড়ে নুইয়ে পরেছে ছেলেটি।
একা একা কফি বানাচ্ছে,
শীত টা যেন বেশিই আজ।
কফিটা তার সারা জীবন একাই বানাতে হয়েছে কারন তার কফি বানানোর মানুষটি সারাজীবন অন্য কাউকে কফি বানিয়ে খাইয়েছে।
মেয়েটি জীবন সঙ্গী হয়েছে তবে অন্য কারো।
কাল মেয়েটির বড় ছেলের বিয়ে।
"৩০ বছর ৩ মাস ২৮ দিন ৬ ঘন্টা"পরে হঠাৎ মেয়েটির ফোন,
চশমা ছাড়া ফোন খুঁজতে ছেলেটির বেশ কষ্ট হয়েছে..
-হ্যালো
-হ্যালো,কেমন আছ?
-ভাল, কে আপনি?
-আমি তোমার অধরা।
মিনিট খানেকের জন্য ছেলেটি স্তব্দ!
-হ্যা বলো।তা এত বছর পর হঠাৎ কি মনে করে?
-বলছি আগে বল কি করো?
-এই তো কফি বানাইলাম এখন খাব।
-তুমি বানিয়েছ কফি? কেন তোমার স্ত্রী??
-বউ কি বাজারে কিনতে পাওয়া যায়? যে কিনে এনে রাখবো?
-মানে কি? তুমি বিয়ে কর নি?
-নাহ।
মেয়েটি ১ মিনিটের জন্য নিরব
-কাল আমার ছেলের বিয়ে..আসবে না?
ছেলেটির উত্তর টা এমন ছিল, "১ টা জুঁই ফুলের মালা আর ১ ঝাক জোনাই পোকা নিয়ে তোমার বিয়েতেই শেষ বার গিয়েছিলা।"
তার পর ফোনের লাইন কেটে গেল। এর পর আর মেয়েটি আর কোন দিন ছেলেটির সাথে যোগাযোগ করতে পারে নি।
মাস ৬ পর মেয়েটিকে জানান হল তার সেই ৩০ বছর আগের "পাগল,গাধা,গর্ধব,বোকা" টা দুনিয়া থেকে যাওয়ার আগে মেয়েটির জন্য একটা চিঠি রেখে গেছে।
অধরা চিঠিটা খুলল,
চিঠিতে লেখাছিল,
"কাঁদছো?
কাঁদলে তুমি লাল হয়ে যাও একদম গোলাপের মত।
কেঁদো না প্লিজ, শত চেষ্টা করেও আমি আজ তোমার চোখের পানি মুছে দিতে পারছি না!
পাগলীটা এমন করে কেউ কাঁদে?
যাও আলমারী টা খোল,
৩০ বছর আগে কার একটা ডাইরী রেখে দিয়েছি তোমার জন্য।
"১৯ অক্টবরের" পাতায় দেখ তোমার দেওয়া সেই গোলাপ টা আর আমার ৩০ বছরে আমার চোখের ৬১ ফোঁটা পানি রেখে দিয়েছি"