somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাম্প্রদায়িকতা ও অসাম্প্রদায়িকতা

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


র্বতমানে একটা বিষয় সর্ম্পকে অনেক কথা উঠে আসছে। সেটা হচ্ছে - “সাম্প্রদায়িকতা ও অসাম্প্রদায়িকতা”
আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক যেটাই হোক না কেন, এগুলো ছাড়াও বিভিন্ন কিছুতে এই সাম্প্রদায়িকতা ও অসাম্প্রদায়িকতা বিষয়টি শুনে থাকি। আমাদের মধ্যে ৭০-৮০ ভাগ মানুষই বুঝে না যে “ সাম্প্রদায়িকতা ও অসাম্প্রদায়িকতা” জিনিসটা কি !!
এরমধ্যে বাকি ২০ ভাগ মানুষ যারা বুঝে , তাদের মধ্যে ১০ ভাগ ভুল বুঝে অথবা যর্থাথ বুঝে না। বাকি ১০ ভাগের মধ্যে ৫ ভাগ মানুষ ভাল ভাবে বুঝে তবে অন্যকে বুঝাতে পারে না। বাকি ৫ ভাগ রইল !যাদের জন্য আমরা কিছুটা হলেও ধারনাটা পাচ্ছি । কারণ, আসলেই তারা বুঝে “সাম্প্রদায়িকতা ও অসাম্প্রদায়িকতা” জিনিসটা কি। আমি আজ কিছুটা ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব যে “সাম্প্রদায়িকতা ও অসাম্প্রদায়িকতা” কি । কেন করব আর কেন আমাদের জানা উচিৎ সেটা সর্ম্পকেও কিছুটা বিস্তারিত লিখব।
প্রথমেই জেনে নেওয়া উচিত, সাম্প্রদায়িকতা কি ?
সাম্প্রদায়িকতা জানার আগে আমাদের জানতে হবে শব্দটি কোথায় হতে এসেছে ।সম্প্রদায় হতে সাম্প্রদায়িকতা এসেছে। সম্প্রদায় হচ্ছে একটি সমাজের অংশ , যাদের নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য থাকার জন্য তাদের আলাদা ভাবে আমরা চিনতে পারি। সহজভাবে - ধরি আমাদের স্কুল/কলেজ সম্পূর্ণটাকে আমরা বিদ্যালয় ধরি । তবে এখানে যে শ্রেনীগুলো রয়েছে সেগুলো হলো সম্প্রদায়। অথাৎ সম্পূর্ণ বিদ্যালয়ে অনেকগুলো শ্রেনী রয়েছে । তাই আমরা শ্রেনিগুলোকে সম্প্রদায় হিসেবে বিবেচিত করতে পারি । বিশ্বটাকে যদি একটি সমাজ ধরা যায়, তাহলে বাঙ্গালিরা সেখানে একটি সম্প্রদায়। তাই বাংলাদেশকে আমরা সমাজ ধরলে , এই সমাজের অংশ অথাৎ সম্প্রদায় র্ধময়ের ভিত্তিতে ৪ প্রকার হওয়া উচিত। কারণ, বাংলাদেশে ৪ ধরনের র্ধম প্রচলিত । ইসলাম , হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান। এছাড়াও বিভিন্ন কিছুর ভিত্তিতে সম্প্রদায় গড়ে ওঠে । এটা ছিল সম্প্রদায় । এখন সাম্প্রদায়িকতা কি সেটা বুঝতে পারব। ধরুন এই রকম সম্প্রদায় এর মানুষের চিন্তা, ধারা, যুক্তি ও আচরন ইত্যাদি অন্য সম্প্রদায় এর উপর প্রভাবিত করে তখন সেটা সাম্প্রদায়িকতা হয়ে উঠে। অথাৎ বুঝতেই পারছেন সাম্প্রদায়িকতা হচ্ছে নিজেদের র্স্বাথগুলোকে অন্য সম্প্রদায়ের উপর চাপিয়ে দেওয়াটাকে বুঝায়।

এবার অাসি অসাম্প্রদায়িকতা কি ?
সাধারনত অসাম্প্রদায়িকতা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার বিপরিত বিষয়কে বুঝাচ্ছে । তবে এখানে অসাম্প্রদায়িকতা বলতে অামরা বলতে পারি সকলে মিলেমিশে কাজ করার র্স্বাথকা কে ।

সাম্প্রদায়িক ও অসাম্প্রদায়িকতার ইতিহাসটাও আমাদের জানা প্রয়োজন।

ব্রিটিশ শাসন আমলে বাংলার সব বেশীর ভাগ অঞ্চলে হিন্দুরা আধিপত্য বিস্তার করত। তারাই ছিল বর্তমান বাংলাদেশীদের মহাজন। তারা এখানকার সম্পদ নিয়ে গিয়ে কলকাতাকে উন্নত করত। এদেশের মুসলিমদের অধিকার রক্ষার জন্যই বঙ্গ-ভঙ্গ করা হয় ১৯০৫ সালে। পরে বিভিন্ন চাপের মুখে বঙ্গ-ভঙ্গ রদ করা হয়, মূলত চাপ ছিল হিন্দুদের- কারন তারা প্রভাবশালী ছিল। তবে এই বিভাজন আর থামানো যায় নি ১৯৪৭ সালে। তখনও কারন একটাই মুসলিমদের অধিকার সংরক্ষন। এই ভারতীয় উপমহাদেশের বিভাগ নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা হয়েছিল, তখন ভারত কলকাতাকে ছাড়েনি। তাই আমরা বাঙ্গালীরা বিভক্ত হয়ে পড়লাম। ১৯৪৭ -এর বিভাজন নিয়ে যে যাই বলুক না কেনো, আমার মতে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনটাই সঠিক ছিল। তা না হলে এদেশে এতদিন ধর্মীয় দাঙ্গা হত। কারন পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা প্রচণ্ড কট্টর এবং সাম্প্রদায়িক। তবে ১৯৪৭ -এ বিভাজনের যে ভুল ছিল তা সংশোধিত হয় ১৯৭১ সালে। ( এই অনুচ্ছেদের তথ্য ইতিহাস সংগ্রহিত)

“সাম্প্রদায়িকতা ও অসাম্প্রদায়িকতা” শব্দটির ব্যবহার আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। অনেকেই “সাম্প্রদায়িকতা ও অসাম্প্রদায়িকতা” শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। তবে আমাদের দেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতাকে উঠিয়ে দিয়ে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলার জন্য ১৯৭১ সালে দেশকে স্বাধিন করেছেন বীর সন্তানেরা। তাই তাদের মূল্য কখনও দিতে পারবো না। তবে তাদের প্রতি সম্মানে দেশের শান্তির জন্য অসাম্প্রদায়িকতাকে রক্ষা করা উচিৎ আমাদের। সাম্প্রদায়িকতা মনোভাব থেকে বিরত থাকলে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

[ অামার ধারনা ভুলও হয়ে থাকতে পারে। তাই যদি হয়ে থাকে অবশ্যই মন্তব্য সংশোধিত করে দিবেন। ]
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৬
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×