somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যদি না পারো রাখতে মান করো না ভাষাকে অসম্মান

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দেশ ! অনেক কষ্টে আর আত্মত্যাগে ফলে যে আমরা বেঁচে আছি আমরা সেটা ভুলেই গেছি। আমরা যে লক্ষাধিক মানুষের রক্তের দানের বিনিময়ে আজ চলছি তা যেন অজান্তে আমাদের । শুধু ইতিহাস পড়লে আর দিবস পালন করলেই কি মর্যাদা দেওয়া হয় !!

আজ যেন মর্যাদার মান তলানিতে জমে থাকে মানুষের মনের । আজ আমরা এতটাই অবচেনতা্য় ভুগছি যে প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারি , ২৬শে মার্চ আর ১৪ই এপ্রিল এভাবে বিভিন্ন দিনগুলো ছুটির আশায় আর একটু ঘুরতে যাওয়ায় লোভে বসে থাকি। আজ ২১শে ফেব্রুয়ারি অথচ এলাকায় শহীদমিনার গুলোয় ঘুরে দেখলাম সারাদিন বাংলা গান আর ফুলের শ্রদ্ধাঞ্জলি । আবার যেদিন পহেলা বৈশাখ আসবে সেদিন ১দিনের বাঙালি হওয়ার রঙ লাগবে মনে।
কিন্তু সব কিছু যদি একদিনের জন্য করা হয় । তবে এত কষ্ট করে কেন তারা রক্তদিয়ে দেশ স্বাধীন করল ! কেন তারা ভাষা আন্দোলন করল ! তারাকি একদিনের ইচ্ছেয় জীবন দিলো ? না !!
তারাও স্বপ্ন দেখেছিল প্রতিটি দিনের প্রতিটি সকালের । তবে আমরা কেন একদিনের জন্য করে থাকি । কেন প্রতিদিনের জন্য কিছু করি না।

ছোট বেলা থেকে অাধুনিক ছোঁয়াতে নিজেদের অস্তিত্বকে যে ভুলে যাচ্ছি সেটা কেও দেখছি না । বিশেষ করে অধুনিক ছোঁয়া দিচ্ছি ছোটদের । ভাত খাওয়াতে শুরু করে সব কিছুতেই হাতে বিদেশী গান দিয়ে মোবাইল ধরিয়ে তো দেই সাথে টিভি তো আছেই ! কোথাই বাঁচ্চারা মিষ্টি মিষ্টি ছড়া শিখবে সেখানে তারা শিখছে হিন্দি গান। সেদিন আমার বন্ধুর ৭ বছর বয়সের ছোট বোনকে দেখি সে আমার সাথে হিন্দিতে কথা বলছে । বাংলা বলতেই পারছে না। আবার আমার পরিচিত এক মেয়েকে বলি রবিন্দ্রসঙ্গীত আর বাংলা গান শুনতে । সেটা নাকি ক্ষ্যাত ! হিন্দী গানগুলো সুন্দর।
আমরা বাঙালিরা, অদৌ সবাই যে বাঙালি হয়ে পারিনি । তাই বাঙালি শব্দটার অর্ন্তগত নিজেকে করতে কষ্ট হয়। একদিন পান্তা ভাত আর ইলিশ মাছ খেতে পারি । কিন্তু বাংলায় ভাল ভাবে কথাটা বলতে পারি না অামরা।
রাস্তায় একটা ছেলে একটা মেয়ে কথা বলছে, অামি তাকিয়ে দেখি প্রথম ২/৩ বাক্য ইংরেজিতে পরে অাবার বাংলা ইংরেজি মিশিয়ে এরপর বাংলা।
অারে ভাই!!
কথা বলবি বল, তাতে এত্তো ভাবের কি অাছে, সুন্দর করে বাংলায় বল, মাঝে মধ্যে দু'একটা ইংরেজি ছাড়! তা তো নই বটে,
ইংরেজির মাঝে বাংলা শব্দের গুলি ছুরে মারছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১৪
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×