বসে করে হায় হায়, শুধু যে সে ভেঙ্গায়,
নেই তার নাম কোন বইতে,
তাই শুধু করে রব, ঘামে ভিজে জবজব,
পারে না গরম সে সইতে।
একটু পর পর, খবরটা জব্বর,
লাফ দিয়ে উঠে ব্যাটা গাছেতে-
নাচে সে শাখাতে, হয়ে মহা খ্যাপাটে
বলে- ‘তোরা আসিস না কাছেতে।'
পায়ে ধরি, ওরে বাবা, চালাসনে তোর থাবা,
নিতে মোর পাকা ঐ আমগুলো,
এগুলো নিলে পরে, লম্বা দুই কান ধরে,
খুলে দিবো তোর ঐ পরচুলো।
আছে কি সে মুশকিলে? উকুন যত কিলবিলে,
মাথাতে বসে আছে তার কি?
সে বলে ধুৎ ছাই, ওগুলো তো সদাই
মারে কত বুকডন, জানোনি!
একদিন সক্কালে, তার লাল বাম গালে
বসলো মশা দুই মজাসে,
ভুরু দু’টো কাঁপিয়ে, জঙ্গল দাপিয়ে
হাতি এলো মারতে তা সোজাসে।
মশা দু’টো উড়ে তাই, নাচে তারা ধাই ধাই,
গুনগুন গান করে হর্ষে-
শীত ছিলো কনকনে, ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে
দুইজনে হাসে নববর্ষে!
তাই দেখে হাতিরাজ, দেখো ফেলে রণসাজ,
তবলায় বোল তুলে ধিন তাক,
ঝুনঝুনি হাতে নিয়ে, স্ত্রীদের ফাঁকি দিয়ে
এলো সেথা তিন ভাই দাঁড় কাক।
কাক করে কা কা, যাদু’র ঢাকা ফাঁকা
স্বর শুনে মাটি দেয় কম্প-
আগডুম বাগডুম, ঝর্ণার গুমগুম,
ঘোড়া এসে দিয়ে দেয় লম্ফ।
চাঁদ থেকে মই বেয়ে, বুড়ি সেথা আসে ধেয়ে
বলে- ঘোড়া, তুই কেন এখানে?
খোকা-খুকি গেলো কই, তারা কি খাবে দৈ-
বানিয়ে আনি যদি সেখানে?
শুনে বলে খোকা-খুকু, দিয়ে দাও ততটুকু-
পেট ভরে যত দৈ খাওয়া যায়,
মা বলেন- ছি ছি, জানো না মিছিমিছি-
খালি পেটে ওগুলো খাওয়া দায়?
শুনে করে খাই খাই, যার কোন নাম নাই,
খেয়ে ফেলি ওগুলো এক্ষণ?
তারপরে মিরপুরে, লালমাটিয়া ঘুরে,
ছুঁয়ে দেবো চাঁদবুড়ি’র দুই চরণ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৯