ছায়াছবি হচ্ছে লেখকের কল্পনার বহিঃপ্রকাশ। এটাই সিনেমা বা ছায়াছবি'র আধুনিক সংজ্ঞা। আর, সিনেমার জন্যে যে গল্প তৈরী করা হয়, তাকেই স্ক্রিনপ্লে বা চিত্রনাট্য বলে। এখানে উল্লেখ্য যে, দুই ধরণের আলোকচিত্র বা ফোটোগ্রাফি হয়ে থাকে। প্রথমটি স্থির চিত্র, আর দ্বিতীয়টি- চলমান চিত্র। চলমান চিত্র বা চলচ্চিত্রের জন্যে তৈরী কাঠামোগত পরিকল্পনাকে চিত্রনাট্য নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
চিত্রনাট্যের সাতটি উপাদানঃ
চিত্রনাট্য লিখতে হলে কয়েকটি বিষয় বোঝা প্রয়োজন। যেমন- এর উপাদান। যে কোন চিত্রনাট্যের ৭টি উপাদান রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-
১) গল্প,
২) প্লট,
৩) দৃশ্য,
৪) সিনেমার চরিত্র,
৫) ডায়ালগ বা সংলাপ,
৬)) ইমোশোনাল একশন বা সংবেদনশীল ক্রিয়া, এবং
৭) শারীরিক ক্রিয়া।
উল্লেখ্য যে, প্লট হচ্ছে ছায়াছবির কয়েকটি দৃশ্য বা ক্রিয়ার সমষ্টি।
চিত্রনাট্যের ৮টি কৌশলঃ
চিত্রনাট্য লিখতে ৮টি কৌশল অনুসরণ করলে সফলতা পাওয়া যায়। সেগুলো হচ্ছে-
কৌশল ০১ঃ চিত্রনাট্যের একটি মূল চরিত্র থাকতে হবে। একই সাথে, সেই মূল চরিত্রের একটি লক্ষ্য বা চাহিদা থাকবে যা সে অর্জন করতে চাইবে।
কৌশল ০২ঃ চিত্রনাট্য দুই ভাবে লেখা যায়- ক) মূল চরিত্রের উপর ভিত্তি করে, খ) গল্পের বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে।
ব্যাখ্যাঃ
কাল্পনিক এই চলচ্চিত্রের কথা চিন্তা করে দেখুন- 'রোগী' হচ্ছে একজন আধ্যাত্মিক সাধক নাসিরউদ্দিনের গল্প যার অসুস্থ্য ছাত্রকে দেখতে যেতে টাকা প্রয়োজন।
এখানে দেখুন,
চলচ্চিত্রের নাম কি? রোগী।
মূল চরিত্র কে? একজন আধ্যাত্মিক সাধক।
উনার কি প্রয়োজন? টাকা।
কি জন্যে প্রয়োজন? অসুস্থ্য ছাত্রকে দেখতে যেতে সেই টাকা প্রয়োজন।
এটাই চিত্রনাট্য লেখার প্রথম কৌশল।
আপনাদের জন্যে অনুশীলনীঃ
এবারে আপনি চট-জলদি কয়েকটি মূল চরিত্র চিন্তা করে তাদের লক্ষ্য বা চাহিদা উপরে দেখানো কৌশলে লিখে ফেলুন তো কমেন্ট সেকশনে। তাহলে, আমি বুঝতে পারবো যে, আমি বুঝাতে পেরেছি।
এবারে, Bi-cycle thieves ও The English Patient চলচ্চিত্র দু'টি দেখে নিজে নিজে এক লাইনে লিখে ফেলুন এই ছায়াছবিগুলোর বিষয়বস্তু।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০