বিশ্বের সর্বাধুনিক দেশ বলা হয় আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোকে সেই ইউরোপ, আমেরিকায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের সংখ্যা অনেক বেশি । আমেরিকাতে প্রতি দশ নারীর মধ্য একজন নারী ধর্ষণ বা শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন । এর কারণ হচ্ছে,অতি অধুনিকতার নামে উশৃঙ্খলতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব সর্বশেষ পারিবারিক বন্ধন না থাকা। এশিয়ার মুসলিম ও হিন্দু অধ্যুষিত দেশগুলোতে ধর্ষণের রেট অনেক কম এর কারণ ধর্মীয় শিক্ষা ও মূল্যবোধ । মানুষ যতোই এই মূল্যবোধ থেকে সরে যাবে ততোই সমাজে ধর্ষণ,নারী নির্যাতন সংখ্যা বেড়ে যাবে।
মনে রাখবেন, আপনি যদি নারীর খোলা বুকের নৃত্য দেখেন বা সর্মথন করেন তাহলে আপনাকে আপনার মেয়ে,মা,বোনের ধর্ষণের সংবাদ পাওয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে । দু:খের বিষয় হচ্ছে, উগ্রতা প্রকাশ করে নষ্টা মেয়েগুলো আর নির্যাতনের শিকার হয় খুব সাধারণ আর ভাল মেয়েগুলো। এটি হয় সমাজ ও রাষ্ট্রের বিচারহীনতার জন্য । সমাজের মানুষ ল্যাংটাকে ল্যাংটাই বলবে আর এটা বললেই সে মৌলবাদী বা তথাকথিত সুশিল হয়ে যাবে না । একজন ধর্ষক সমাজের নিকৃষ্টজীব তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই । পশু ও মানুষের মধ্যে পাথর্ক্য হচ্ছে,পশু তার জৈবিক চাহিদা সংবরণ করতে পারে না কিন্তু মানুষ পারে বলেই সে মানুষ ।
ধর্ষণের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ মুখর থাকে পুরুষেরা তবুও তাদের ধর্ষকের দোষে দোষী বানিয়ে সুবিধা নেই কিছু নারীবাদি । এরা ধর্ষকেদের চেয়ে নোংরা প্রাণী । অতি আধুনিক নারীবাদিদের মতামত হচ্ছে , আমি বেল্লাপানা করবো পুরুষ তুই দেখলি ক্যান ? তোর চোখ খারাপ । তোর জাতের দোষ । তবে আশার কথা হচ্ছে, এদের সংখ্যা খুবই কম । শতকরা ১০% এর বেশি হবে না । এদের সাথে যোগদেবার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকে কিছু পুরুষ যাদের মুখে এক অন্তরে চাকবুম চাকবুম । যাদের অন্তর্যে নারীদের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ নেই ।
"মেয়ে তুমি আবরু ঢেকে রাখো কারণ দামী ও মূল্যবান জিনিষ মানুষ ঢেকেই রাখে ।"
ধর্ষণ বন্ধে পারিবারের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ বাড়াতে হবে । ছেলে মেয়ে উভয়ের মাঝে ধর্মীও শিক্ষার বীজ বপন করতে । অতি আধুনিক পিতা মাতার সন্তান ই বড় হয়ে ধর্ষক হয় । অন্যকে দোষ দিয়ে লাভ নেআসুন ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযানটা পরিবারের ভেতর থেকেই শুরু করতে হবে ।
মজার বিষয় হচ্ছে, মুসলিম দেশ হওয়ার পরেও সৌদি আরবে ধর্ষণের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫১