somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘরের ভেতর শক্রু রেখে ফ্রান্সে গিয়ে ক জনকে মারবেন ?

২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিষয়টি জটিল ও স্পর্শকারত। তবুও আমার স্বল্প মেধা নিয়ে এ বিষয়ে কিছু কথা বলতে ইচ্ছে হলো। না বললেও চলতো, কিন্তু তা হলে বিষয়টাকে গুরুত্ব দেওয়া হতো না। আমি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাইছি। গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
যারা মুসলিম তারা জানেন পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তালা, অসংখ্যবার মুসলিমদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন। অসংখ্যবার তিনি বলেছেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে, অসংখ্যবার বলেছেন, ধর্মকে নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে।

আমরা নিজেরা নিজেদের অজান্তেই আল্লাহর হুকুম অমান্য করে চলি। কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে উলটো তাকে ই চেপে ধরি। পেটের টানে ধর্মকে ব্যবসা বানিয়ে অগ্নি ভক্ষণ করে চলেছি। যদি ঈমান আমল ঠিক থাকতো তাহলে মাদ্রাসায় শিশুরা শিক্ষক নামের জানোয়ারগুলো দ্বারা বলৎকারের শিকার হতো না। মুখে আল্লাহ ও নবী প্রেম রাতে বলৎকার। ফ্রান্স কিংবা ব্যঙ্গচিত্রকর নয় সবার আগে তো এদের ক্ষতম করা উচিত । শুধু আল্লাহ আর রাসুলের নামে রাস্তায় নেমে গেলেই মুসলিম হওয়া যায় না। জান্নাত পাওয়া তো অনেক দূর কা বাত। প্রকৃতই আল্লাহ ও তার রাসুলকে ভালবাসলে, আল্লাহর হুকুম পালন করতে হবে ও রাসুলের সুন্নত পালন করতে হবে। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, আমরা ক জন তা সঠিক ভাবে করি?

এটাই প্রথম নয় এর আগেও বহুবার রাসুলে পাক সঃ এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। বহুবার ইসলাম ও মুসলিমদের হেয় প্রতিপন্ন করে, আক্রমণ করা হয়েছে বা হচ্ছে। এটা শুধু ফ্রান্স বা ইউরোপে নয়। এশিয়া আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে।হচ্ছে ।

কেউ যদি কিছু একটা দেখিয়ে বলে, এটা অমুক বা এটা তমুক তাহলেই বা আমি, আপনি তা মানবো কেন? রাসুল সঃ এর মুখচ্ছবি, মুখের আদল কারো পক্ষে তৈরি করা সম্ভব নয়। যেখানে ইবলিশ পৃথিবীর সব লোকের আকৃতি ধারণ করতে পারলেও রাসুল সঃ আকৃতি ধারণ করতে পারে না, সেখানে ইবলিশের অনুসারীরা কোন ছার? তারা তা পারে না বলেই রাসুলের ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে। উদ্দেশ্যে আসলে রাসুল নয় উদ্দেশ্যে মুসলিমদের উত্তেজিত করা । করুক না, করতে দিন । ওরা চাইলেই আমি, আপনি কেন উত্তেজিত হবো? আমরা তো জানি ওটা আমার আপনার রাসুলের চিত্র নয়। হতে পারে না ।

একজন শিক্ষকের কাজ হচ্ছে, মানুষকে আলোকিত করা কারো বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো নয়। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা নয়। তিনি যদি বিদ্বেষ ছড়ান ফ্যাসাদ তৈরি করেন তাহলে বুঝতে হবে তিনি শিক্ষক নন। মাদকাসক্ত ফ্যাসিস্ট।

আধুনিক বিশ্বে শিল্প সাহিত্যের সূতিকা ঘার বলে খ্যাত ফ্রান্সে ইসলাম ও রাসূল সঃ কে নিয়ে চর্চা একটু বেশ ই হয়। এটা যে শুধু নাস্তিকেরা করে তা কিন্তু নয় এর পেছনে বহুদিন ধরে কোটি কোটি টাকা লগ্নি করা হচ্ছে। যেহেতু ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সেই প্রাচীন কাল থেকেই বেশ্যাবৃত্তি,সমকামী নির্ভর, ধর্মকর্ম বিমুখ ও মাদকাসক্ত নগরায়ন ব্যবস্থা তাই সেখানে যে কোন ধর্মকে টার্গেট করে অপপ্রচার, পোপাগান্ডা চালানো অনেক সহজ। এ কারণে ফ্রান্সে টাকা খরচ করলেই যে কোন ধর্মের বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা করা যায়।
দেখুন মহানবী সঃ কে নিয়ে এ পর্যন্ত ফ্রান্সে যতোগুলো ঘটনা ঘটছে সব গুলোতে কিন্তু খুব বেশি সংখ্যক মানুষের ইনবলভমেন্ট ছিলো না। তবুও সেগুলোকে বিশ্ব ব্যাপী এমন ভাবে প্রচার করা হয়েছে যেনো মুসলিম বিশ্বে তা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। মাথা ঠান্ডা করে ভাবুন একবার তো একবার, কারা চালায় এসব প্রচার? কাদের লাভ হয় এতে ? তাদের উদ্দেশ্য ই বা কী?

আল্লাহ যাকে সম্মানিত করেন তাকে কে অসম্মান করতে পারে কে? কার এতো শক্তি? এক জরিপে দেখা যাচ্ছে,বিশ্বে সব চাইতে জনপ্রিয় ও ব্যাপক ব্যবহৃত নাম হচ্ছে,মুহাম্মদ, সুবাহান আল্লাহ।
নিরাস হবার কিছু নেই। সত্য ধর্ম এসে গেছে তাই হতাশ হবার ও কিছু নেই। ইসলামকে হেফাজতের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তালার।
দাঙ্গা ফ্যাসাদে জড়িয়ে মুসলিমদের ইসলামকে কুলষিত করার কোন দরকার নেই। যেহেতু, আল্লাহ ওয়াদা করেছেন,যারা আল্লাহ ও রাসুলের বিরোধিতা করবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। সেহেতু আপনি আমি আমরা কে? তাই বলে কি প্রতিবাদ করবো না? অবশ্যই করবো। শান্তিপূর্ণ ভাবে করবো।
তা না করে যদি আমরা দাঙ্গা ফ্যাসাদে জড়াই ফায়দা লুটবে ইহুদি রাষ্ট্রটি। যারা বহু যুগ ধরে মুসলিম,ইসলাম ও রাসুল কে নিয়ে চক্রান্তের জাল বিছিয়ে যাচ্ছে।
বয়কট করতে হলে, সৌদিকে দিয়ে শুরু করুন,আরব আমিরাতকে করুন,বাহরাইনকে করুন । এমন একদিন আসবে যখন মধ্যপাচ্যে নামকা ওয়াস্ত মুসলিম দেশ ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। ঘরের ভেতর শক্রু রেখে ফ্রান্সে গিয়ে ক জনকে মারবেন?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১৫
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×