ব্যাংকেও কি মাত্র ২০জন প্রবেশ করবে? নাকি যেই লাউ সেই কদু?
করোনা সংক্রামনের সবচেয়ে সহজ জায়গা হচ্ছে, মার্কেট, বাজার আর ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে। অথচ দেশের ব্যাংকসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলেই,এ কদিন ব্যাংকগুলোতে উপচে পরা ভিড় ছিলো। তাতে করোনাও ছড়িয়েছে ইচ্ছে মতো।
নতুন প্রজ্ঞাপনে সেই ব্যাংকই খুলে দেওয়া হলো। ব্যাংক খোলা তো সব কিছু খোলা। তাহলে এই নাটকের কি দরকার ছিলো? লক ডাউনে না গেলেই তো হতো। তাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কিছুটা কমতো। বেড়ে যাওয়া দ্রব্যের দামও তাতে কিছুট কম থাকতো।
কইলে কইবেন আমি খারাপ,ব্যাংক খোলা থাকলে যদি হাজার মানুষ প্রবেশ করতে পারে, তাহলে মসজিদে কেন জায়গা থাকার পরেও ২০ জনের বেশি প্রবেশ করতে পারবে না? ব্যাংকেও কি মাত্র ২০জন প্রবেশ করার পর তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে? নাকি ব্যাংকে করোনা ছড়ায় না, শুধু মসজিদ থেকেই ছড়ায়? সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। মনে রাখতে বিশ্বের সব দেশ কঠোর থেকে কঠোর লক ডাউনে থেকেও বাচতে পারছে না। যেখানে করোনার প্রভাব কমলেই,হাসপাতাল ঘায়েব হয়ে যায়।
কেউ কাউরে মানে না, কারো উপরে কারো নিয়ন্ত্রণ নেই। এক পাটি সকালে ডান বললে,অন্য পার্টি বিকালে সেটাকে বাম বানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করিয়ে মুচকি হাসে, দেখলি আমার পাওয়ার? অবস্থা এমন যে, কুকুর লেজ নাড়ায় না লেজই এখন কুকুর নাড়াচ্ছে।