somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাখাওয়াত হোসেন  বাবন
ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে "আমার কবিতা নামে" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

আসুন হাতে ফুল নিয়ে মুড়ি খাই ....... বাজেটে জনগনের জন্য তো কিছু পেলাম না

০৯ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাপকাঠি নির্ভর করে সে দেশের জনগণের জিডিপি আয়ের উপর ।
যে দেশের জনগণের মাথাপিছু জিডিপি আয় যতো বেশি তারা অর্থনৈতিক ভাবে ততো উন্নত । এটা খুব সাধারণ একটি ইকুয়েশন। আর কোন একটি দেশের জিডিপি তো আর এমনি এমনি বাড়ে না তার জন্য সরকারের নানান উদ্যোগ নিতে হয়। পরিবেশ তৈরি করতে হয় ।

উন্নত দেশের কথা বলতে , আমরা যদি সিঙ্গাপুর,দক্ষিণ কোরিয়াকে ধরি তাহলে দেখবো এ দুটি দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যদের জন্য মডেল হয়ে আছে । বছরের পর বছর দেশের জিডিপি উন্নয়নের জন্য তারা যে সব কর্মসূচী তৈরি করেছে তা অনুসরণ করলে, যে কোন দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি কঠিন কিছু না ।

আমি অর্থনীতিবিদ নই, কিন্তু এটা বুঝি দেশের জনগণের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন হলে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। দেশ উন্নত হয়। সামাজিক,প্রাকৃতিক দিক দিয়ে বিবেচনা করলে আমরা এ দুটি দেশে থেকে এগিয়ে থাকলের ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে অর্থনৈতিক ভাবে শতভাগ পিছিয়ে আছি ।

কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের সরকারের উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার ছিলো, জনগণকে ব্যক্তি সঞ্চয়ে আগ্রহী করে তোলা । কারণ জনগণের সঞ্চয় বৃদ্ধি পেলে সে অর্থ সরকার নানামুখী কাজে ব্যবহার করতে পারে । বিগত সরকারগুলো এ ব্যাপারে যথেষ্ট য চেতন ছিলো । তারা জনগণকে সঞ্চয়ী করতে নানামুখী কর্মসূচী নিয়েছে । সঞ্চয়ের উপর নানামুখী সুদ বাড়িয়েছে । বোনাসের ব্যবস্থা করেছে । কিন্তু বর্তমান সরকারের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কিছু ব্যক্তি সঞ্চয়পত্রসহ নানান সঞ্চয়ের পথগুলো রুদ্ধ করে দিয়েছে । জনগনকে সঞ্চয় বিমুখ করে তুলেছে।

তাদের উদ্দেশ্য হলো, তরল টাকা সঞ্চিত না হয়ে তা খরচ হয়ে যাক । কারণ জনগণ বেশি বেশি টাকা সঞ্চয় করলে টাকা সরাসরি চলে যাবে সরকারের কাছে । ফলে অর্থ পাচারের আর সুযোগ থাকবে না ।

বর্তমানে আমরা দেখছি, সংসদেও অর্থ পাচার নিয়ে কথা হচ্ছে, কারণ আসলেই দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে।জনগণের তথা রাষ্ট্রের টাকা নেড়ে চেড়ে একটা শ্রেণী রাতারাতি ধনী হয়ে যাচ্ছে । এক যুগ আগেও যারা খেতে পেতো না তারা আমেরিকা,কানাডা,দুবাইয়ে বাড়ি কিনে বসে আছে । এদের কারনেই বাজার ও পরিবহনের ব্যবস্থার চলে যাচ্ছে, জনগণের নাগালের বাহিরে ।

যদি ব্যক্তি সঞ্চয়ের ব্যাপারে বেশি সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হতো তাহলে এ অর্থগুলো আর বাহিরে যেতো না । বাজার ব্যবস্থা ও পরিবহন সেক্টর জনগণের নাগালের মধ্যে থাকতো । অবৈধ পন্থায় একটা শ্রেণী হঠাৎ করে ধনী হবার সুযোগ পেতো না। এই ধনী শ্রেণীটাই বর্তমানে দেশের সর্বস্তরে ভারসাম্য নষ্ট করছে । এদের কারণে দেশের আইন শৃঙ্খলা ও বেহাল হয়ে পরছে । আমরা যতোই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দোষ দেই না কেন, সিস্টেম ঠিক না হলে কিছুই ঠিক হবে না ।

অর্থ মন্ত্রীর ২০২১-২২ সালের বাজেট ঘোষনা দেখে সত্যিই হতাশ হয়েছি । ওনার বাজেটে জনগণের জন্য কিছু পাইনি । উনি বাজেটে যা রাখলেন তা সরাসরি ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে জনগনের উন্নয়নে নয় । উন্নয়নের নামে দেশের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রটি এই বাজেটের ফলে নানান সুযোগ সুবিধা পাবে।

ভেবেছিলাম, করোনা মহামারীর কারণে যেহেতু জনগণের আয় কমে গেছে, জীবন যাত্রার মান কমে গেছে সেহেতু বাজেটে জনগনের কর রেয়াত, সঞ্চয়পত্রের সুদ বৃদ্ধিসহ নানা ছাড় থাকবে । কিন্তু এসব নিয়ে সরকারের কোন ভাবনাই চোখে পরেনি। অথচ দেশের উন্নয়নে জনগনের উন্নয়নে বাজেট । বাজেটের শেষে পরিহাস করে যেনো, ফুল আর মুড়িতে কর কমানো হয়েছে। ধন্যবাদ অর্থমন্ত্রী একেবারে নিরাশ করেন নাই। দেশের জনগন এখন ফুল হাতে নিয়ে পেট ফুলিয়ে মুড়ি খেতে হবে । যারা অর্থ পাচার করার তারা পাচার করুক , বিদেশে বাড়ি করুক তাতে দেশের জনগণের কি ?

বাজেটে স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে যে ১০ হাজার কোটি টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হলো , এই টাকার অর্ধেকও দেশের মানুষের উন্নয়নে বা জনগণের কাছে পৌঁছাবেনা তা দেশের মানুষ খুব ভাল করে জানে । কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নিয়ে এই দুই খাত থেকে চুরি করা টাকাই আবার সাদা করার সুযোগ নিয়ে সাদা হয়ে যাবে কিংবা বিদেশে পাচার হয়ে যাবে । যারা অর্থ পাচার করছে তারাই আবার আমলা কিংবা ব্যবসায়ী সেজে সরকারের অংশ হয়ে সব নিয়ন্ত্রণ করছে । তাই সহজে মুক্তি নাই ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:০৪
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×