
অনেক উন্নতি হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং বাদ দিয়ে চায়ের টং খুলে বসেছে । বাঙ্গালী ব্যবসা প্রিয় ব্যবসায়ী জাতি । মরার পরে তাই ফেরেস্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের লাইনের লোকজন ঠিক করেও দু'পয়সা আয় করে নিতে ভুল করবে না । সম্ভব হলে সেখানেও চা, বিড়ির দোকান খুলে টু পাইস ইনকাম ও করে নিতে পারে । "কি আর করা এখন বাদামওয়াল চাওয়ালা গো ই জয় জয়াকার । "
জনগণের টাকায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে এমনই হয় । যদি বাপের টাকায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তো তাহলে বই, পুস্তক নিয়ে দৌড়া দৌড়ী করতে করতে জীবন চলে যেতো চায়ের দোকানের টং খুলে ঢং করার সুযোগ পেতো না ।
প্রশ্নটা নিজেকে করুন , পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একজন ছাত্রের পেছনে দেশের কত টাকা ব্যয় হয় ? কত টাকার খরচ করার পরে একজন ছাত্র চিকিৎসক, প্রকৌশলী হয়ে বের হয়ে আসে । কে যোগান দেয় সেই টাকা ? কেন তাদের পেছনে এতো, এতো টাকা খরচ করা হয় । সেই টাকার ফিডব্যাক কি ?
কোন সন্দেহ নাই , মেধা আছে বলেই তারা পাবলিক বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে । মেধার কল্যাণেই তারা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকে এগিয়ে যায় । শুধু মেধা দিয়ে হয় না ,তার সাথে চাই অধ্যবসায় ও দেশে প্রেম ।
কোন ছাত্রের পেছনে যখন রাষ্ট্র অর্থ ব্যয় করে তখন তার মূল উদ্দেশ্যে থাকে তারা লেখাপড়া শেষ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে আসবে । কেননা জনগণের টাকা ব্যয় করেই তারা লেখা পড়াটা শেষ করতে পেরেছে বাপের টাকায় নয়। তাই জনগনের টাকার জন্য বাপের টাকার মতোই মায়া জন্মাতে হবে । তা না হলে ভাল কিছু আশা করা যাবে না ।
গুটি কয়েক ডাইল খোর ছাত্রের জন্য দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না । সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্ব ছাত্র শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করুন । এবং এটা করতেই হবে । বন্ড সাইন করার মতো ভর্তির সময় ছাত্রছাত্রীদের কাজ থেকে লিখিত নেওয়ার ব্যবস্থা করুণ, দেশের জন্য অন্তত ১০ বছর তাদের সেবা দিতেই হবে । নতুবা তাদের পেছনে যে, টাকা ব্যয় হবে সে টাকা ফেরত দিতে হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



