
এবারের বাজেটের বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন। বিষয়টা অপ্রত্যাশিত । এতে অর্থ পাচারকারীরা সাহস পাবে ।
অর্থ পাচারকারীদের সুযোগ দেবার আগে, কোথায়, কিভাবে,কত অর্থ পাচার হচ্ছে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত । পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার চেয়ে পাচার রোধে প্রতিরোধ গড়ে তুলাটা বেশি কার্যকর ।
স্বাভাবিক ভাবে মনে করা হয়, বাংলাদেশ থেকে অর্থ শুধু , সুইচ, ব্যাংক কিংবা ইউরোপ, আমেরিকা,কানাডাতেই পাচার করা হয় । তা কিন্তু নয় বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হচ্ছে, ভারতে । আবার মধ্যপ্রাচ্য থেকে অর্থ ও সোনা পাচারের জন্য রুট হিসাবে ব্যবহার করা হয় বাংলাদেশকে ।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিসরে চিকিৎসার নামে, আমদানির নামে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে যে পরিমাণ অর্থ পাচার হয় তা বিশ্বের অন্যান্য দেশে পাচার হওয়া অর্থের দ্বিগুণ বা তার বেশি ।
ভারতে অর্থ পাচার করাও সহজ এ দেশে হুন্ডি ব্যবসায়ীর কাঁছৈ টাকা দিলেই সেটা নিমিষে ভারতে পৌঁছে যায় । এতো নিরাপদ আর কি হতে পারে? ইউরোপ,আমেরিকা থেকে তো রেমিট্যান্স আসে কিন্তু ভারত থেকে আসে শুধু ষড়যন্ত্রের গন্ধ। বাংলাদেশ থেকে পাঠানো অর্থ বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই অপপ্রচারে ব্যবহৃত হয় ।
প্রশ্ন জাগতে পারে অর্থ কেন পাচার হয় । এক কথায় বলা যায়, দুনীতিবাজেরা সব সময় নিরাপদ অশ্রয় খূুজে । অবৈধ উপাজন বিদেশে পাঠিয়ে সেই টাকায় সুখে খুজে । তবে যদি কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে তবে অর্থ পাচার সহজেই বন্ধ করা যায় । ব্যাংক সহ , সঞ্চয় পত্রে সুদের হার কমিয়ে দেওয়ার ফলে বাজারে প্রচুর তরল অর্থের সরবরাহ বেড়ে গেছে । এর ফলে একটা শ্রেনী লাভবান হচ্ছে, মানুষ তাদের সঞ্চয় হারাচ্ছে অন্যদিকে সরকার সুদের বোঝা থেকে সামান্য সুবিধা পেলেও দেশ ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে । পরিকল্পনাটি হওয়ার কথা ছিলো , সঞ্চয় পত্র বিক্রির অর্থ সরকার বিভিন্ন ব্যাংক ও প্রতিষ্টানে প্রদত্ত সুদের হারের চেয়ে বেশি হারে বিতরণ করে লাভবান হওয়া । কিন্তু নানা ভুল সিদ্ধান্তের ফলে সঞ্চয় পত্রের সুদকে সরকার বোঝা মনে করছে , এটা বোঝানো হচ্ছে । তাই সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য বন্ডের সুদের হার বাড়ালে সরকার ও দেশ ই লাভবান হবে ।
সুধাংশু ভদ্র, পিকে,প্রদীপ সাহার মতো কিছু অসৎ ব্যক্তিরা বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতিবছর ভারতে পাচার করছে। এটা এখন ওপেন সিক্রেট।
বাংলাদেশের নাগরিক পরিচয়ে চাকরি বাকরি, ব্যবসা করে এই দেশে আর বউ, পোলাপান, টাকা জমায় ভারতে। অর্থ পাচার রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এদের ব্যাপারে খোজ নিতে হব। অভি লম্বে একটি কমিটি করে এদের খুজে বেরা করা দরকার । এমন ও আছে, থাকে ভারতে বেতন তুলে বাংলাদেশ সরকারের । এরা কারা ? এরা কারা ?
এছাড়া ভারতের হিন্দু সন্ত্রাসী জঙ্গি দল বিজিপি'র এজেন্ট হিসাবে কাজ করে বাংলাদেশের হিন্দু- মুসলিম ভ্রাত্রীয় সম্পর্কে ফাটল ধরাবার চেষ্টা করে যাচ্ছে বহুদিন থেকে। দেশের স্বার্থে এদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। তা না হলে বিদেশে অর্থ পাচার বাড়তেই থাকবে পক্ষান্তরে অস্থির হবে দেশের অভ্যন্তরিন রাজনীতি।
সাখাওয়াত বাবনের ব্লগ থেকে ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


