somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাখাওয়াত হোসেন  বাবন
ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে "আমার কবিতা নামে" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

শব্দ এবং গতিই সব "সময়" বলে কিছু নেই । মহান আল্লাহ্‌ চ্যালেঞ্জ করতে ভালবাসেন, কারণ তিনি জানেন তিনি কি বলেন ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী কিংবা নিউক্লিয়াস এক্সপার্টদের যদি প্রশ্ন করেন , "আপনারা কি পুরো পৃথিবীকে ধ্বংস করে ফেলতে পারবেন ।? তাহলে তারা বেশ ভাব নিয়ে গর্বের সাথে এক বাক্যে বলবে , হ্যাঁ পারবো । এইডা কোন ব্যাপার ই না । " কিন্তু তাদের যদি আবার প্রশ্ন করেন, "আপনারা কি পুরো মহাবিশ্বকে ধ্বংস করে ফেলতে পারবেন ? " তাহলে তাদের মাথায় বাজ পড়বে । মুখ পাংশে যাবে । মাথা নেড়ে বলবে , না সেটা সম্ভব নয় । "মহাবিশ্ব" তো আর মায়ের হাতের মোয়া নয় যে, ইচ্ছে হলেই কেড়ে নিয়ে ধ্বংস করে ফেললাম । "

মূলত মহাবিশ্ব ধ্বংস করা সম্ভব নয় তার প্রকাণ্ডতার জন্য । কিন্তু তা অসম্ভব নয় । মহাবিশ্বকেও ধ্বংস করে ফেলা সম্ভব । তবে, এহেন কর্মের জন্য আপনাকে বেশ শক্তিশালী কোন উপাত্ত বা অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে । এখন মনে প্রশ্ন জাগবে, কি এমন শক্তিশালী অস্ত্র সেটা ? আসছি সে প্রসঙ্গে । তার আগে , ভাবুন , প্রশ্ন করুণ , প্রশ্ন না করলে জানবেন কি ভাবে ?

একটি তিমির কাছে একটা কুচো চিংড়ি যেমন অদৃশ্যমান ঠিক তেমনি মহাবিশ্বের কাছে মানুষ বা তাদের গ্রহটিও অদৃশ্যমান ।

কথায় কথায় আমরা আক্ষেপ করে বলি , মানুষ সময়ের কাছে হেরে যায় । অথচ মজার ব্যাপার হচ্ছে । সময় বলে কিছু নেই । মানুষসহ প্রাণীকুল মূলত গতির কাছে হেরে যায় । তাদের গঠন শৈলী ই তাদের সব চেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা । এ প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠা কিছুতেই সম্ভব নয় । আবার ধরুন আপনি, প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে পারলেন এবং গতির বেগে চলার শক্তি অর্জন ও করলেন কিন্তু তবুও আপনি গতিকে অতিক্রম করতে পারবেন না । বায়ুমণ্ডলের প্রতিবন্ধকতার জন্য । একটি নিদিষ্ট গতি প্রাপ্তির পর আপনার শরীরে আগুন লেগে যাবে । কারণ মানুষকে এবং প্রাণী জগতকে গতির অধীন করে সৃষ্টি করা হয়েছে , এ কারণে পবিত্র কুরআনে সুরা আর রহমানে , এমনটা বলা হয়েছে যে , "চাইলেও তোমরা একটি নিদিষ্ট সীমার বাহিরে যেতে পারবে না । পারলে গিয়ে দেখাও । " মহান আল্লাহ্‌ চ্যালেঞ্জ করতে ভালবাসেন , কারণ তিনি জানেন তিনি কি বলেন ।

মহা জগতকে জয় করতে হলে, তাদের গতিকে জয় করতে হবে । উসেইন সেন্ট লিও বোল্ট যখন দৌড় শুরু করেন কিংবা একটি চিতা যখন তীব্র গতিতে শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পরে অথবা আমার যখন সাধারণ ভাবে হাটা চলা করি এ সব একটি ক্ষণস্থায়ী একশন বা প্রক্রিয়া যা নিদিষ্ট একটি কার্যপদ্ধতি সম্পূর্ণ করে সমাপ্তি লাভ করে । ফলে গতি এগিয়ে যায় অন্য সব কিছু পিছিয়ে পরে ।

কিন্তু মহাজাগতিক গতির কোন শেষ বা অন্ত নেই, তা চলমান । এই গতি বা ফোর্স ঈশ্বরিক । একে আটকে ফেলতে পারলে পৃথিবী এবং বিশ্ব ভ্রমান্ড ধ্বংস করে ফেলা সম্ভব । কিন্তু তা মানুষের আয়ত্তের বাহিরে । কোন নিউক্লিয়াস আক্রমণেও তা সম্ভব নায় । একমাত্র সম্ভবপর হতে পারে যদি গতিকে জয় করা যায় । যেহেতু গতি ও শব্দ একে অপরের পরিপূরক সেহেতু শব্দ দিয়েই গতিকে জয় করা অথবা থামিয়ে দেয়া সম্ভব ।

চলুন একটি বাবুনিও পরীক্ষা চালাই,

"একটি বদ্ধ হাড়ি বা পাতিলের ভেতর যদি প্রচন্ড রকমের শব্দের ব্যবস্থা করেন, তার ফলে যে তরঙ্গ বা কম্পন সৃষ্টি হয়ে তার মোমেনর্টাম পাতিলের বাহিরের মোমেনটাম এর সাথে মিলবে না । অবশ্য এ পরীক্ষাটি করার জন্য আপনাকে মহাশূন্যে যেতে হবে । তা না হলে ভালো রেজাল্ট পাবেন না । "

বিগ ব্যাং এর কথা সবাই জানেন । যা হকিং সাহেব বলে গেছেন । কিন্তু বিগ ব্যাং এর পূর্বে কি ছিল সেটা কি ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন ছিলো না? ছিলো। হকিং এর বিগ ব্যাংক তত্ত একটি চুরি করা তত্ব। উনি যা বলেছেন,তা কুরআনে বহু আগেই পরিস্কার ভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু সেটা স্বীকার করলে ইজ্জত চলে যাবে বলে বিজ্ঞানিরা সেটা স্বীকার করেন না।

আচ্ছা ধরে নিলাম, বিগ ব্যাং সত্য, তাহলেও বলতে হয় এর শুরুটা হয়েছে শব্দের মাধ্যমে এবং তা গতিতে রূপান্তরিত হয়ে ছড়িয়ে পরেছে । এটা ইসলামের দেওয়া তথ্যের সাথে সাংঘষিক নয় । ঠিক তেমনি বিগ ব্যাং এর মতো একটা ঘটনার পরিপেক্ষিতেই বিশ্বভ্রমান্ড ধ্বংস প্রাপ্ত হবে । এটাও ইসলামের তথ্য থেকেই নিয়ে বলা । ইসরাফিল যেদিন শিঙ্গায় ফুঁৎকার দিবেন , সেদিন মহাজাগতিক গতি থেমে যাবে । আর গতি থেমে গেলেই মহাবিশ্ব ধ্বংস হয়ে যাবে ।

যারা কেয়ামত বলতে, শুধু পৃথিবীর ধ্বংস কে বুঝে থাকেন । তাদের জন্য বলছি , ইসরাফিলের শিঙ্গায় ফুঁৎকারে শুধু পৃথিবী নয় পুরো মহাবিশ্বই ধ্বংস প্রাপ্ত হবে । " এবং তখন শুধু তিনি ই থাকবেন । একা থাকবেন। "

এবং আর একটি শব্দ এবং তার তরঙ্গে সৃষ্টি হাশরের ময়দান সৃষ্টি হবে । বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে সেদিন হবে শুধুই পুরস্কার ও শাস্তির পাবার দিন । তখন বিগ ব্যাং তত্ব দিয়ে ক্রেডিট নেওয়ার মতো কেউ থাকবে না ।

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৯
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×