আগে জনসেবা মূলক, অলাভজনক, অরাজনৈতিক জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে ট্রাস্ট কিংবা ফাউন্ডেশন স্থাপন করতেন রাজা, বাদশাহ, জমিদারের রেখে যাওয়া কোন বংশধর কিংবা রাষ্ট্রীয় কোন প্রতিষ্ঠান অথবা বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থের মালিক ধনী ব্যক্তিরা। তাদের মূল উদ্দেশ্যে থাকতো সমাজের বঞ্চিত নিপীড়িত,অসহায় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করা । এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এখনো বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পরিচালিত হচ্ছে । তাদের কারো কাছে হাত পাততে হয় না । দারে দারে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করে সেই টাকা গননা করার জন্য সেই টাকায় কর্মচারী রাখতে হয় না ।
কেননা ট্রাস্ট বা ফাউন্ডেশন এর ব্যয় ভার নির্বাহ করা হয় ট্রাস্টির রেখে যাওয়া সম্পদ ও সম্পদের আয় হতে । আর এখন এরা ঘেরা যে কেউ ট্রাস্ট বা ফাউন্ডেশন খুলে জনকল্যাণের নামে নিজেরা বাড়ির গাড়ির মালিক হয়ে দাতা সাজে বসে আছে । আয় রোজগারের হিসাব নাই নিজে সাজেন হাতেম তাই । যাদের নিজেরই পেট চলে না তাদের আবার ভিক্ষা দেবার খায়েশ। এসব আসলে ভারতীয় মন্দিরের আদলে এক ধরনের ব্যবসা। ইংরেজ এই একই পদ্ধতিতে মিশনারিগুলো চালাত। ধর্ম হচ্ছে, পৃথিবীতে বিনা মূলধনে সবচেয়ে বড় ব্যবসা ।
সম্প্রতি সময়ে ঠিক তেমনি একটি ভণ্ড প্রতিষ্ঠানের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে বিদ্যানন্দ ৷ এরা ভিক্ষুকের টাকায় ভাগ বসিয়ে ভিক্ষুকদের বঞ্চিত করে জনসেবক সেজে দানের টাকায় নিজেরা জমি জমা ফ্লাট বাড়ি কিনছে অফিসের নামে। সোজা কথায় এরা হচ্ছে ভিক্ষুকদের মধ্যস্বত্ব ভোগী কিংবা দালাল। অন্যান্য পণ্যের মতো এখন ভিক্ষুকদের কপালেও মধ্যসত্বভোগী জুটে গেছে ।
বাংলাদেশি বাঙ্গালি ভাইয়েরা এমনিতেই দুনিয়ার সবচেয়ে আবেগ প্রবণ জাতি। আবেগের ঠেলায় শরীরের কাপড় দান করে দিয়ে ন্যাংটা হয়ে ঘরে ফিরে । সেই সুযোগটাই এরা কাছে লাগাছে। কোলকাতার বাঙ্গালী হলে দান তো দূরের কথা, উল্টো এদের ঘটি, বাটি খুলে নিয়ে যেতো। তাই সময় থাকতে ইসকন,বিদ্যানন্দ এদেরকে বয়কট করুন। প্রয়োজনে মসজিদ,মন্দির,গির্জায় নিজেদের ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী দান করুণ।
কিন্তু এক টাকাও কেউ বিদ্যানন্দের কোন ফান্ডে দিবেন না। দিলে তাতে সোয়াব তো হবেই না উলটা পাপ হবে। কারণ এরা না হিন্দু না মুসলিম । এরা সোজাসপটা ভাষায় ভিক্ষুক , দরিদ্র মানুষের হকের টাকা মেরে দেওয়া মধ্যসত্বভোগী একটা শ্রেনী । বাংলাদেশের মানুষের দানের দাত অনেক বড় সে সুযোগটাই এরা কাছে লাগাচ্ছে ।
কারণ এদের আয় ব্যয়ের কোন হিসেব নেই। দানের টাকায় জমি, অফিসের নামে ফ্লাট কিনছে। হয়তো আরো গভীরে গেলে দেখা যাবে তারা অর্থ পাচার করছে। কিংবা তলে তলে বিজিপির কোন এজেন্ডা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করছে । এসব বিষয়গুলো ভেবে দেখে খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে৷
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩