গতকাল মাংস কিনতে গিয়ে এক দোকানে দেখি, পুলিশের ভীড়। ভাবলাম, মোবাইল কোট চলছে। কাছে যেতেই, পুলিশের এক ইন্সপেক্টর বললো,মাংস কিনলে পাশের দোকান থেকে কিনুন। এগুলো খেলে মরবেন৷তার কথার মম তখন না বুঝলেও পরে বুঝেছি, "তাজা গরুর মাংস বিক্রির আড়ালে দেশি গরুর সাথে ভারত থেকে আনা প্যাকেটজাত মাংস মিশিয়ে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে।
এর মধ্যে তিনটা এলাকায় ৭টা দোকান ঘুরেও গরুর মাংস কিনতে পারি নাই তা অবশ্য দামের জন্য নয়। মাংসের কোয়ালিটির জন্য। পানিযুক্ত হলদেটে, ফ্যাকাসে, চর্বিযুক্ত, হাড্ডিসার মাংস দেখে রুচি হচ্ছিলো না কেনার। তার উপর খবর পেয়েছি,কক্সবাজার উখিয়ায় নাকি গরুর বদলে ঘোড়া জবাই করে গরু বলে চালানো হচ্ছে। হাতে নাতে ধরাও পরেছে। এরপরই মাথায় প্রশ্ন এলো,"গুলিস্তান টু সদরঘাট যে ঘোড়ার গাড়িগুলো চলে সেই ঘোড়াগুলি অক্ষম হয়ে যাবার পর যায় কই? তাদের ভাগ্যে কি ঘটে? যদি রাতের অন্ধকারে কেটে কুটে ঢাকার দোকানগুলোতে ঢুকিয়ে দিলে কার বাপের সাধ্য যে ধরবে সেটা গরু না ঘোড়ার মাংস?"
এসব ভাবতেই শরীর গুলাচ্ছিলো । তাই মাংস না কিনে বাসায় ফিরলাম।
বাসায় ঢুকার আগে ভাবলাম দুধ নিয়ে যাই। ওমা দোকানগুলোতে ঢু মারতেই তারা বলল দুধ নেই। খোজ নিয়ে জানলাম,অদৃশ্য ইশারায় বাজার থেকে প্যাকেটজাত দুধ উদাও হয়ে গেছে। অগ্যতা স্বপ্ন থেকে ৮৫ টাকার দুধ ৯০ টাকা প্লাস ভ্যাট দিয়ে দু প্যাকেট দুধ নিয়ে বাসায় ফিরলাম।কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে,
আজ দোকানে গিয়ে দেখি লিটার প্রতি ৩০ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবং সব দোকানে দুধ পাওয়া যাচ্ছে৷
দেশের মানুষগুলি সব কি করে রাতারাতি অমানুষ হয়ে গেলো বুঝে আসছে না৷ কারো মধ্য নৈতিকতার বালাই নাই৷ সবার মধ্য প্রতিযোগিতা কিভাবে অন্যকে ঠকিয়ে সহজে ধনী হবো
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৪০