"যদি তুমি সয়ে যাও তবে তুমি হারবে , যদি তুমি জ্বলে উঠো তবেই তুমি জিতবে ।"
মধ্যপাচ্যের শুভ্র নীল আকাশ মিসাইল, গোলা বারুদের যে নিকষ কালো ধোয়ায় ছেয়ে আছে তার পরিসমাপ্তি ঘটতে পারে; এসরাইলের ডি-মোনা শহরের নিকটে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ধ্বংসের মাধ্যমে । লক্ষ্য বস্তু দৃষ্টি সীমার মধ্যে, দরকার শুধু সিদ্ধান্তের ।
আমেরিকা, যুদ্ধের দৃশ্যপটে অবতীর্ণ হবার পর যুদ্ধ থেকে এখন আর ইরানের পেছনে ফেরার পথ নেই । বন্ধু হিসাবে ইরানের এই বিপদে যে সব দেশ এগিয়ে আসতে পারতো তাদের ধ্বংসের পেছনে কাজ করেছে আজকের এই ইরান । তাই এই দিনটি তাকে দেখতেই হতো ।
নিজেদের স্বার্থে ইরান চড়ম স্বার্থপর একটি দেশ । কারো বিপদে কখনো এগিয়ে যায়নি । তাই তার বিপদেও কেউ আসবে না । এটাই স্বাভাবিক । ব্যক্তি বা রাস্ট্রিয় জীবনে ; অন্যের সাথে তুমি যা করবে, তোমার সাথেও তাই ঘটবে ।
পাকিস্তান,রাশিয়া,চীন,তুরস্ক নর্থ কোরিয়াসহ সাদা চাড়মার যাদের ইরান বন্ধু মনে করেছিলো তারা গুটিয়ে নিয়েছে হাত । পুতিন গতকাল জানিয়ে দিয়েছে, "ইসরাইলের বিরুদ্ধে সে যুদ্ধ করবে না ।" ইরানের সাথে সবার আগে, পাকিস্তান করেছে সবার আগে বেঈমানি । তাই এই দিন , একদিন পাকিস্তানকেও দেখতে হবে ।"
পাকিস্তানের সাথে আলোচনা করেই , আমেরিকা ইরানের পারমানবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে । ক্ষমতার লোভে পাকিস্তানের সেনা প্রধান ট্রাম্পের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে সম্মতি দিয়ে এসেছে ।
লেবানন ও ইয়েমেন হচ্ছে বর্তমানে ইরানের একমাত্র বন্ধু যারা সরাসরি ইরানের সাথে যুদ্ধে সামান্য হলেও অংশ গ্রহণ করেছে । বহমান লু হাওয়ার শুস্ক, উত্তপ্ত বালুময় মধ্যপাচ্যের এই ভূ-মন্ডলে ইরান এখন বন্ধুহীন একা । বিপদে কেউ নেই তার পাশে ।
ইরানের সামনে পথ এখন তাই পথ শুধু একটাই , তা হচ্ছে, ইসরাইলের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেওয়া এটা করতে পারলেই কেবল এ যুদ্ধে টিকে যাবে ইরানের অস্তিত্ব । তা না হলে ইরাকের পরিণতি ভোগ করতে হবে ইরান'কে ও ।
সাদ্দাম হোসেন, মুরসি,গাদ্দাফির আত্মা শান্তি পাক ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৯