বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন এর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী আন্দোলন জন আন্দোলনে পরিণত হয়ে গণঅভ্যুত্থান মাধ্যমে হাসিনাকে তাড়াতে পারলেও যে উদ্দেশ্য; যে আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সর্ব স্তরের জনগণ ও ছাত্ররা (বিশেষ করে বেসরকারি , স্কুল , কলেজ ও ইউনিভারসিটির ছাত্ররা ) গণঅভ্যুত্থানকে সফল করেছিলো সে উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতার কারণে । আইন শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে দুনীতির, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি । কোনটাই এ সরকার বন্ধ করতে পারে নাই । যদি রেমিটেন্সের কথা বলি , তাহলে আন্দোলনের পূর্বে ও দেশের রেমিটেন্সের এমন অবস্থা ছিল ।
এমন একটি সেক্টর নেই যেখানে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে । চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে অর্থ পাচার সব ই চলছে হাসিনা স্টাইলে । মাঝখানে কিছু মেয়াদ উত্তীর্ণ মাল শর্ট টার্ম মেমোরি লস্ট, শেষ বয়সে জাতিকে হাই কোট দেখাচ্ছে । এক বছর আগেও যাদের তিন বেলা খাওয়ার টাকা ছিলো না । তারা আজ অস্ত্রের ম্যাগজিন নিয়ে ধরা পড়ে এয়ারপোর্টে । এটাই কি জুলাই আন্দোলনের ফসল ?
দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত ও রুটি ।
অথচ দেশের ধান ও গমের বাজার এখনো সেই পুরাতন সিন্ডিকেটের হাতে জিন্মি। তাই প্রতিনিয়ত বাড়ছে চালের মূল্য । অথচ উপদেষ্টারা নির্লজ্জের মতো দুর্নীতিবাজ হাসিনার দোসরদের ছেলে-মেয়ের বিয়ে খেয়ে বেড়াচ্ছে । ইউনুস সাহেব বলেছেন ," দেশে আর কখনো ফ্যাসিস্ট এর আবির্ভাব না; ঘটলেই নাকি গন গণঅভ্যুত্থান ঘটবে ।
ইউনুস সাহেবকে বলতে চাই , "দেশে আবারো ফ্যাসিস্টবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠলে , জনগণ আন্দোলনের পাশাপাশি এ জিনিসটাও মাথায় রাখবে দেশে যেনো আর কোন অযোগ্য,অর্থব মেয়াদ উত্তীর্ণ কেউ ক্ষমতায় যেতে না পারে।"
এখনো সময় আছে , সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে কেটে পড়ুন । সেনা বাহিনীই যা করার তা করবে ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শাসন ব্যবস্থা ও ব্যর্থতায় আমি ব্যক্তিগত ভাবে হতাশ ।