somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাখাওয়াত হোসেন  বাবন
ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে "আমার কবিতা নামে" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সেই তুমি , নেই তুমি ( ছোট গল্প)

০৮ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এটি কোন নাটক বা উপন্যাসের চিত্র নাট্য নয়। নয় কোন  সিনেমার দুর্দান্ত রোমান্টিক প্লট ৷  কিছু কিছু কথা আছে যা একান্ত ব্যক্তিগত ৷ যা কোনদিন কারো সাথে শেয়ার করা যায় না ।  যেসব কথা হৃদপিণ্ডের ছোট কুঠরে সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো লুকিয়ে থাকে যুগের পর যুগ৷ অতি নিকটের মানুষও  যার  হদিস পায় না কোনদিন ৷ 

আজ এতোগুলি বছর পর সে কথাগুলি বলতে বসে বারবার কেপে কেপে উঠছে প্রাণ ৷ দৃষ্টিপটে ভেসে উঠছে সেই মুখ, সেই মায়াবী চোখের চাহনি। যা এতোগুলো বছর পরেও বারংবার আমায় অন্যমনস্ক করে দিচ্ছে।

আমি কোন লেখক বা উপন্যাসিক নই । তাই তাদের মতো হয়তো গুছিয়ে লিখতে বা বলতে পারবো না । কিন্তু তবুও আজ এই বাদল ঝরা দিনে সে কথাগুলো খুব করে বলতে ইচ্ছে করছে সবাইকে। মনে হচ্ছে, কথাগুলো বলে ফেললে অনেকটাই  লাঘব হবে বুকের ভেতর জমাট বাধা কষ্ট । 

আমি তখন ক্লাস টেনে পড়ি। 
প্রতিদিন সকাল ৭টার ব্যাচে দল বেধে অংক প্রাইভেট পড়তে যাই বেলায়েত হোসেন স্যারের বাসায়।
স্যার যে বাসায় ভাড়া থাকতেন সে বাসাতে আরো অনেকগুলো ফ্যামিলি ভাড়া থাকতো। বাড়িটি ছিলো, চারপাশে দেয়াল ঘেরা। গেট দিয়ে ঢুকতেই দু পাশে সারিবদ্ধ ফ্লোর পাকা চৌচালা ঘর। শেষ মাথার বা পাশে দেয়াল ঘেষা রান্না ঘর। গোসল খানা।
গেট দিয়ে ঢুকে প্রথম ঘরটায় স্যার ছাত্র পড়াতেন। বাদ বাকি ঘরগুলোতে অন্য  কয়েকটি ফ্যামিলি ভাড়া থাকতো৷

একদিন এমনি এক বৃষ্টি মুখর সকাল বেলা ছাতি মাথায় স্যারের বাসায় গিয়ে দেখি আমাদের ব্যাচের কেউ আসেনি। বৃষ্টির তোড় বেশি থাকায় ছাতি থাকার সত্ত্বেও অনেকটা ভিজে গিয়েছিলাম। কেউ না থাকায় বেঞ্চিতে ব্যাগ রেখে দরজায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখছি আর ভেজা চুল মুছছি৷

এমন সময় দেখতে পেলাম তাকে৷ স্যারের ঘরের ঠিক অপর পাশে একটি দরজায় দাড়িয়ে সে আমারি মতো বৃষ্টি দেখছে। আর ক্ষণে ক্ষণে আমার দিকে তাকাচ্ছে৷ এর আগেও বেশ কয়েক বার তাকে দেখেছি, কিন্তু আজকের মতো এমন পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকানো হয়নি তার দিকে৷ মেয়েটি গায়ের রং কুচকুচে কালো৷ আমাদের এই সাব কন্টিনেন্টে এমন শরীরের রং সাধারণত দেখা যায় না।

শরীরের রং কালো হলেও অদ্ভুত এক সৌন্দর্য যেনো তাকে ঘিরে বিচ্ছুরিত  হচ্ছিলো ৷  তার উপর মাথা জুড়ে ওমন  ঝাকড়া কোঁকড়ানো মিচমিচে কালো চুলের বিন্যাস আর নীল দু' টো চোখের চাহনি কয়েক মুহূর্তের জন্য স্তম্ভিত করে দিলো আমায় । 

সরাসরি কারো দিকে তাকানো অসভ্যতা জেনেও অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম তার মুখ পানে । মনে মনে ঈশ্বরের সৃষ্টির প্রশংসা না করে পারলাম না । কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ভাবছিলান এতো সুন্দর করে তিনি কিভাবে সৃষ্টি করেন ! 

মেয়েটিকে দেখার পর থেকে, মাথার ভেতর সর্ক্ষবণ রবি ঠাকুরের সেই কবিতাই ঘুরে ফিরে বাজছিল,

"কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি;
কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক।
মেঘলা দিনে দেখেছিলেম মাঠে;
কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ।"


রবী ঠাকুর হয়তো এমন কোন দিনে মেঘলা অনুরুপ কোন মানষীকে দেখে সে সৌন্দর্যে আমার ই মতো মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন তার সেই বিখ্যাত কবিতা খানি । 

সেদিন থেকে হাসন রাজার মতো আমিও পিয়ারির প্রেমে মজে গেলাম । গেয়ে উঠলাম,

" নিশা লাগিলো রে / নিশা লাগিলো রে
বাঁকা দুই নয়নে নিশা লাগিলো রে
হাসন রাজা পিয়ারির প্রেমে মজিলো রে
নিশা লাগিলো রে ...।"

ছোট মনের পাটাতনে নিত্য নতুন রূপে ধরা দেয় সে । প্রজাপতির মতো উড়ে বেড়ায় কল্পনায় নানা ফুলে রং ছড়িয়ে । আমার তখন পাগল প্রায় অবস্থা, কখনো গলা ছেড়ে গান গাই; আবার কখনো আপন মনে হেসে উঠি । কখনো বিষণ্ণতা ডুবে যাই আবার শুশুকের মতো ফুশ করে ভেসে উঠি। ঘুমে জাগরনে সর্বক্ষণ ভেসে বেড়ায় তার মুখশ্রী। কচি হৃদয় নতুম প্রেমের জোয়ারে ভেসে যেতে লাগলো ।

আজ এতোগুলো বছর পর বলতে, লজ্জা নেই । সেই প্রথম দেখার দিন থেকেই আমি মেয়েটির প্রেমে পড়েছিলাম। সেটাই ছিল আমার কৈশোরের প্রথম প্রেম।

সেদিনের পর থেকে যখন ই স্যারের বাসায় যেতাম সকলের চোখ ফাকি দিয়ে আমার চোখ খুঁজে ফিরতো তাকে ৷ ভাগ্য ভালো হলে মাঝে মাঝে তার দেখা পেতাম ৷ সে ঠোটের কোণে মৃদু হাসি এনে নীল চোখ তুলে তাকাতো আমার দিকে । আমি দুরুদুরু বুকের কম্পন সামলে হয়তো বুঝতো সে আমি ভালবেসেছি তাকে। তা না হলে ওমন করে তাকাতো কেন ? 

বেশির ভাগ দিন তার ঘরের দরজা থাকতো বন্ধ । দেখতে পেতাম না । না দেখা হলে অস্থির অস্থির লাগতো । আর যেদিন তার দেখা পেতাম বেশ ফুরফুরে থাকতো দেহ মন। গলা ছেড়ে গান গাইতাম। ফুল পাখির পেছনে ছুটতাম ৷ জটিল জটিল সব বীজ গণিত, পাটি গণিতে অংক সূত্র ছাড়াই চোখের নিমিষেই কষে ফেলতাম ৷

এর মধ্যে আমার চাল চলন, বেশ বুশায় বেশ পরিবর্তন এলো । পরিপাটি পোশাকের সাথে বাবার পারফিউম শরীরে মেখে স্যারের স্যারের বাসায় যেতাম । সর্বদা মনের ভেতর এক গোপন বাসনা থাকতো মেয়েটির দৃষ্টি আকর্ষণের । যখনই সে আমার দিকে চোখ তুলে তাকাতো কসম করে বলছি, সমগ্র স্বর্গ যেনো কয়েক মুহূর্তে নেমে আসাতে ধরায় ।

যেহেতু অনেকগুলো মধ্যবিত্ত পরিবার সে বাড়িটিতে থাকতো । তাই তাদের মধ্যে প্রতিদিনই টুকটাক ঝগড়া ঝাটি লেগে থাকতো। সবগুলোই রান্না ঘর কেন্দ্রিক । মেয়েটির মাকে ও মাঝে মাঝে দেখতাম নিচু গলায় প্রতিবেশীদের সাথে ঝগড়া করতে । মেয়েটি তখন লজ্জায় করুণ মুখে অসহায়ের মতো দরজার আড়ালে লুকিয়ে থাকতো ।

মধ্যবিত্ত মানুষের ঝগড়া ঝাটির হাত,পা থাকে। একবার শুরু হলে তা আর থামতে চায় না । রান্না ঘরে শুরু হওয়া ঝগড়া হামাগুড়ি দিয়ে একসময় রান্না ঘরের চৌকাঠ পেরিয়ে তাদের ঘরে প্রবেশ করতো। মা অকারণেই মেয়েটিকে বকাঝকা শুরু করতো । সব কথা কানে না এলেও বেশ বুঝতে পারতাম বকা ঝোঁকার এক পর্যায়ে মা মেয়েটির শরীরের রং নিয়ে নানা কথা বলতে ছাড়ত না । সাত চড়েও মেয়েটির মুখ দিয়ে কোন কথা বের হতো না । নিরবে বয়ে চলা নদীর মতো সে সব ব্যথা সয়ে যেতো ।

"আমি দেখেছি নিষ্পলক সকরুণ যে চোখ
আজো তা হৃদপিণ্ডে গভীর ক্ষত হয়ে রয়ে গেছে ।"


কল্পনার মেয়েটির ব্যথাতুর মনের অবস্থা বুঝতে পেরে ভেতরটা আমার ব্যথায় ভারাক্রান্ত হয়ে উঠত । মাঝে মাঝে ইচ্ছে, হতো ছুটে গিয়ে মেয়েটির মাকে দু'কথা শুনিয়ে দিতে । একদিন এমন এক বকাঝকার দিনে , কঠিন এক সিদ্ধান্ত নিলাম। মনে মনে ঠিক করে ফেললাম, বড় হয়ে এই মেয়েটিকেই বিয়ে করে উদ্ধার করবো মায়ের সকল জ্বালা, যন্ত্রণা থেকে । তাকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবো না । বউ করে নিয়ে গিয়ে রাণীর মতো সাজিয়ে রাখবো তাকে ।

মাত্র পনেরো বছরের এক বালকের এমন সংকল্পের কথা  অনেকের কাছে আজ হয়তো হাস্যকর মনে হবে।  আমার জন্য সেটা ছিল জীবনের এক কঠিন সিদ্ধান্ত । "কিছু কিছু কথা হয় পর্বতের মতো , মানুষ নড়ে কিন্তু কথা নড়ে না।" আমি আজও সে সংকল্পে অটুট আছি । 

দেখতে দেখতে আমাদের এসএসসি পরীক্ষা নিকটে চলে এলো । আমার তখন তুমুল ব্যস্ততা । খুব ভালো রেজাল্ট করতে হবে , বড় হতে হবে , বড় চাকরি করতে হবে , তবেই না তাকে বিয়ে করতে পারবো। সবাই পড়ে ভালো রেজাল্টের জন্য আমি পড়ি তাকে পাবার জন্য । কি হাস্যকর তাই না ? 

সারাদিন বাসায় বসে গাদা গাদা প্রশ্ন ব্যাংক সলভ করা । চলে রিভিশনের পর রিভিশন।  খুব একটা প্রয়োজন না হলে , স্যারের বাসায় যাওয়া হয় না। কিন্তু তারপরেও তাকে দেখার জন্য মাঝে মাঝে নানা বাহানা বানিয়ে স্যারের বাসায় যেতাম । ভাগ্য ভালো হলে তার দেখাও পেয়ে যেতাম ।

পরীক্ষার কয়েকদিন আগে এক সকাল বেলা , স্যারের বাসায় গিয়ে দেখি , পুরো বাড়ি সময়েত স্যারের বাসায় ঢুকার গলিটা লোকজনে গিজগিজ করছে । এখানে সেখানে ছোট ছোট জটলা করে লোকজন দাড়িয়ে আছে । ঘটনা কি দেখার জন্য ঠেলাঠেলি করে এগিয়ে গেলাম । বাসায় ভেতরে ঢুকার দরজার সামনে দু তিনজন পুলিশকে দেখতে পেলাম বন্দুক হাতে দাড়িয়ে আছে ।

বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই দেখতে পেলাম মেয়েটির মা বারান্দায় বসে গলা ছেড়ে কাঁদছেন আর কপাল চাপড়াচ্ছেন । অনেক মহিলারা ঘিরে রেখেছে তাকে । সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করছে । মেয়েটির ঘরের দরজায় ও অনেক লোক দাঁড়িয়ে আছে । অজানা এক আশংকায় ভেতরটা ছ্যাঁত করে উঠলো আমার ।

কি করবো বুঝতে না পেরে স্যারের রুমের ভেজানো দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়লাম । স্যার চেয়ারে বসে খাতায় কিছু লিখছিলেন, দরজায় শব্দ পেয়ে মাথা তুলে তাকিয়ে আমাকে দেখে বললেন , "কি রে; কি মনে করে ?"
স্যারের প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, "কি হয়েছে স্যার , এতো লোকজন কেন ?

স্যার আমায় বসতে বললেন; আমি স্যারকে ফের জিজ্ঞাসা করলাম, "কি হয়েছে স্যার ?"
স্যার তখন একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বললেন, "ও বাসার বড় মেয়েটি গতরাতে আত্মহত্যা করেছে রে।"

মুর্হুতে যেনো আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো । হঠাৎ করেই সবকিছু নিশ্চল হয়ে গেলো আমার। বুকের বাম পাশে প্রচন্ড ব্যথায় চিৎকার করে উঠতে গিয়েও পারলাম না । বুকে হাত চাপা দিয়ে বসে পড়লাম ।

স্যার নিচু গলায় বলতে লাগলেন ,"কি আর করবে বল; মা'টা সারাদিন মেয়েরটার সাথে খিটখিট করতো । আজে বাজে কথা বলতো । খবু বাজে মহিলা বুঝলি; খুব বাজে মহিলা । তা না হলে, কেউ আপন মেয়ের  গায়ের রং নিয়ে খোটা দেয় ? অনেক দিন ধরে চলছে এ মানসিক নির্যাতন । গতরাতেও নাকি মেয়েটিকে খুব বকাঝকা করেছে । মেয়েটা আর সহ্য করতে না পেরে এমন কাণ্ড করে বসলো । আরে বাবা ; কেউ কি ইচ্ছে করে কালো রং নিয়ে জন্মায় ?  স্যার আপন মনে গজগজ করতে লাগলেন। বুকে শত সমুদ্র কান্না চেপে উদভ্রান্তের মতো স্যারের বাসা থেকে সেই যে বের হয়ে এলাম আর কোনদিন সে বাসায় যাইনি।

এখনো মাঝে মাঝে আমি মেয়েটির দেখতে পাই ৷ বৃষ্টি হলেই সে এসে দাঁড়ায় আমার ঘরের বারান্দায়। ঠোটের কোণে মিষ্টি হাসি মেখে আড় চোখে তাকিয়ে থাকে আমার দিকে । জগতের সবটুকু সৌন্দর্য এসে তখন ভর করে মুখ জুড়ে । আমি বিমুগ্ধ হয়ে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তাকিয়ে সে সৌন্দর্যে হারিয়ে যাই । 

শেষ।
০৮.০৭.২০২৫
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:২৯
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×