আপনারা কেউ জানেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা কিভাবে পরীক্ষা দেয়? কিংবা শ্রুতিলেখক জিনিসটা কি? দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের কোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে হলে তাদের কারো না কারো সাহায্য দরকার হয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা মুখে বলেন আর কেউ একজন তা শুনে হুবুহু পরীক্ষার খাতায় লিখে দেন। যিনি লিখেন তাকে বলা হয় শ্রুতিলেখক। বুঝতেই পারছেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের শ্রুতিলেখকের সাহায্যে পরীক্ষা দিতে হয়।
ছোটবেলা থেকেই ভালো কোনো উপন্যাস পড়ে ভাবতাম, এখনো ভাবি, এরকম একটি বই যদি লিখতে পারতাম! মনের গভীরে আফসোস থেকেই যায়, কিন্তু সেই মহান লেখকের মতো লেখা আর লিখতে পারি না। তার পরেও গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নিবন্ধ লিখি। নিজেকে সামান্য একজন লেখক ভাবতে ভালো লাগে। কিন্তু কেউ যখন জিজ্ঞেস করে, এসব লেখালেখি করে কি হবে? এতে কোনো কাজ হয়? ভালো কোনো উত্তর দিতে পারি না। আমতা আমতা করে বলি, কিছু না কিছু তো হয়-ই। কিন্তু কতটুকু হয়, কোথায় হয়? সেই প্রশ্নের আর উত্তর দিতে পারি না। কিন্তু আজ আমার মনে হচ্ছে, সারা জীবনে একটি বারের জন্য হলেও যদি একজন শ্রুতিলেখক হতে পারতাম। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নিবন্ধ লেখকের লেখায় কাজ না হলেও একজন শ্রুতিলেখকের লেখায় সত্যিই কাজ হয়। প্রতিবন্ধী ছেলেটি, প্রতিবন্ধী মেয়েটি পরীক্ষায় পাশ করে। তার মুখে হাসি ফোটে। অন্ধকার জীবনেও সে আলো দেখতে পায়।
চট্টগ্রামে নবম ও দশম শ্রেনীর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্যে ছয়জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বালক-বালিকার জন্য জরুরী ভিত্তিতে শ্রুতিলেখক প্রয়োজন। ছয়জন এর মধ্যে তিনজন নবম শ্রেনীর ও তিনজন দশম শ্রেনীর। যেসব বন্ধুরা চট্টগ্রাম বসবাস করেন, তাদের কাছে এই বিশেষ সাহায্য আশা করছি। আগ্রহীরা আজ রাতের মাধ্যেই প্লিজ সরাসরি ফোনে যোগাযোগ করুন।
Suvasish Paul ০১৮১৫৬৩৬৬৩০
জাহিন আফরোজ ০১৬৮৩২৬৪৩৭৮