বাংলাদেশে হিন্দুদের, আদিবাসীদের, পাহাড়িদের জায়গা-জমি, ব্যবসা-বানিজ্য, ঘর-বাড়ি, উপাসনালয় দখল, লুটপাট, নারী ধর্ষন, খুন করার মতো সহজ কাজ কমই আছে। এটা দল-মত নির্বিশেষে যখন যে পেরেছে তখন সে করেছে। কারন এই কাজটি করলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। এটা সবাই জানে।
এসব কর্ম বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে ঠেকেছে যে, বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা জানে বাচার জন্য পারলে ভারতে চলে গেছে, যাচ্ছে, নয়তো জায়গা-জমি বিক্রি করে বড় শহরগুলোতে এসে ভাড়া বাড়িতে উঠেছে, উঠছে। কিন্তু যারা তাদের বিরুদ্ধে এসব অপরাধ করে হাত পাকিয়ে ফেলেছে, তারা কি বেকার বসে থাকবে? না, তা হয় না। তারা এখন এক মুসলিম আরেক মুসলিমের স্থাবর-স্থাবর সম্পত্তি দখল করছে। একে অন্যকে খুন, ধর্ষন সবই করছে।
শবে বরাতের রাতে মীরপুর কালসীতে বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে এতোগুলো মানুষকে পুড়ে মারার কারনে কারোই যে কিছু হবে না, একথা আমি হলফ করে বলতে পারি। কিন্তু যা হবে তা হলো, এক বাংগালি আরেক বাংগালিকে এভাবেই পুড়িয়ে মারবে। বাসে আগুন দেয়ার রীতি তো আছেই। চট্টগ্রামের বাশখালিতে একটা হিন্দু পরিবারকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। মনে আছে। আজ বিহারীদের হত্যা করা হলো। আগামীতে এমন ঘটনা আরো ঘটবে।
মানবতা তুমি কোথায়? তুমি নিরব কেন? কোথায় যাচ্ছে এই দেশ? ওরা কি শুধুই বিহারী? ওরা মানুষ না?