somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হুদায়বিয়ার সন্ধির ধারা সমূহ

২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মক্কা শহরের ৯ মাইল দক্ষিণে হুদায়বিয়া নামক প্রান্তরে কুরাইশ ও মুসলমানদের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি ইতিহাসে হুদাইবিয়া সন্ধি নামে খ্যাত। যাকে পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিদানও বলা হয়। এ সন্ধির ফলে সাময়িকভাবে মুসলমান ও কুরাইশদের মধ্যে শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়। ফলে মুসলমানরা নিজেদেরকে শক্তিশালি ও ইসলামকে সুদূর প্রসারি করার সুযোগ পায়।
হুদায়বিয়া প্রান্তরে মুসলমান ও কুরাইশদের মধ্যে যেসব শর্তে চুক্তি সম্পাদিত হয়, তা হলো:-
১. ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে মুসলমানগণ হজ্ব সম্পাদন না করেই মদিনায় প্রত্যাবর্তন করবেন।
২. মুসলমান ও কুরাইশদের মধ্যে আগামি ১০ বছর যে কোন প্রকার যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ থাকবে।
৩. মুসলমানগণ পরের বছর (৬২৯ সালে) হজ্ব পালন করতে আসতে পারবে।
৪. যদি মুসলমানগণ ইচ্ছা করেন তাহলে তিনদিনের জন্য পরের বছর মক্কায় হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে আগমন করতে পারবেন। মুসলমানদের অবস্থানকালে কুরাইশগণ মক্কা ত্যাগ করে অত্যত্র আশ্রয় গ্রহণ করবেন।
৫. মক্কায় আগমন কালে মুসলমানগণ শুধু আত্মরক্ষার জন্য কোষবদ্ধ তরবারি ছাড়া অন্য কোন মরণাস্ত্র সাথে আনতে পারবেন না।
৬. আরবের যে কোন গোত্রের লোকের সাথে কুরাইশও মুসলমানদের সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ থেকে কোন বাঁধা নিষেধ থাকবে না।
৭. চুক্তির মেয়াদকালে জনসাধারণের পূর্ণ নিরাপত্তা রক্ষিত হবে এবং একে অপরের ক্ষতি সাধন করবে না। কোন প্রকার লুণ্ঠন অথবা আক্রমণ চলবে না।
৮. কোন মক্কাবাসী মদিনায় আশ্রয় গ্রহণ করলে মদিনার মুসলমানগণ তাকে আশ্রয় দিতে পারবে না। অন্যদিকে কোন মুসলিম মদিনা থেকে মক্কায় আগমন করলে মক্কাবাসী তাকে প্রত্যার্পণ করতে বাধ্য থাকবে না।
৯. হজ্বের সময় মুসলমানদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। মক্কা ও মদিনার মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুবিধা থাকবে।
১০. মক্কা কোন নাবালক তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া মুসলমানদের দলে যোগদান করতে পারবে না।
১১. সন্ধির শর্তাবলি উভয় পক্ষকে পরিপূর্ণভাবে পালন করতে হবে।

হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্তাবলি ছিল ইসলামের ইতিহাসে মুসলমান ও কুরাইশদের মধ্যে অন্যতম দিকদর্শন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×