আমাদের দাদু বাড়ি ছোট বেলায় ছিল সিরাজগঞ্জ জেলার দেলুয়া গ্রামে। আমার দাদুর নাম বেলাল সরকার, বাবার নাম আমির হামজা সরকার। ছোট বেলা থেকেই দেখেছি আমাদের বাড়ির প্রত্যেক ছেলে- মেয়েদের মায়ের পরিবার নির্যাতন করতে। তাদের নির্যাতন এর ধরনটা কেমন ছিল আমি ততটা বুজতে পারিনি। আমার ছোট ভাইয়ের নির্যাতন কিছুটা আমি দেখেছি। সারা জীবন তাকে কীভাবে নির্যাতন করেছে। আমি নিজে দেখেছি মরার কয়েক ঘণ্টা আগে কীভাবে নির্যাতন করে কষ্ট দিয়ে মেরেছে। উপশম হসপিটাল(ঢাকা, বারিধারা)
হসপিটাল সেখানে পুরো ফ্লোর ভর্তি মানুষ(বেশীর ভাগ মহিলারাই বোরখা পরা, পুরুষ(অমানুষ) রা পাঞ্জাবি পরা, পায়ের উপর পা তোলা(সবায়ই মধ্য বয়েসি) তারা আমার ভাইয়ের কষ্টটা খুব উপভোগ করছে। কয়েকজন সাংবাদিক তারা বিভিন্ন পেপার নিয়ে নোট করছে। আমার ছোট ভাই সোহেল রানা, সে পড়ালেখায় ছোট থেকেই মেধাবী ছিল, সে পাইলট হতে চেয়েছিল, মায়ের পরিবার, সাথে তাদের দোসররা সেটা হতে দেয় নি। তাঁর সুন্দর ভবিষ্যৎ তারা নষ্ট করে শেষ করে দিয়েছে। তাঁর ছেলে -মেয়ে নিয়ে সুখের একটা সংসার হতো, দেশের সম্পদ হত। যেসব অমানুষ তাকে অকালে শেষ করে দিল তাদের বিচার চাই। একটা স্বাধীন দেশে সবার চোখের সামনে এত বড় অপরাধ ঘটে কেউ কথা কেন বলেনা? আমি তাদের বিচার এমন ভাবে চাই যেন , তারা আমার ভাইকে যেভাবে শেষ করে দিয়েছে ঠিক সেভাবেই তাদের কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলা।
আমার ছোট ভাইয়ের কার্বন কপি রেহান রসুল। আমি উনার ভিডিও দিতে পারলাম না দুঃখিত। রেহান রসুলের অনাগত গান, বাঝে স্বভাব গানটা ভিডিও দেখে নিতে পারেন।
মেঝো ভাইয়া, শামিম রেজা, সিভিল এ ডিপ্লোমা(প্রতি ইয়ার বৃত্তি প্রাপ্ত), এর পর বি এস সি করেছে। ডিপ্লোমাতে, মাদ্রাসা কোন টাতেই পড়াতে চাই নি আমার বাবা, উনি চেয়েছিলেন জেনারেল এ পড়াতে। মায়ের পরিবার(মায়ের মা, সে মাদ্রাসায় দিয়েছিল জোর করে), ডিপ্লোমাতে জোর করে দিয়ে ছিল আলমাস(মায়ের ছোট ভাই)। মেঝো ভাইয়া কে আমাদের নতুন বাড়িতে একবার মেরে ফেলার চেস্ট া কারা হয়ে ছিল। সবাই ভেবে নিয়েছিল মারা গেছে। ডাক্তার ও তাই বলেছিল। আল্লাহ সেবার বাচিয়ে দিয়েছেন। বাবাকে মেরে ফেলার পর অনেক নির্যাতন সহ্য করে ভাইয়া যখন ঢাকা এসে বসুমতী আবসিক প্রকল্পে জব এ চাকরি নেয়, সেই সময় তাকে মানুসিক ভাবে অসুস্থ করে ফেলে। সেই সময় বড় ভাইয়ার সাথে আমার মায়ের বড় বোনের মেয়ের সাথে বিভিন্ন ভাবে চালাকি করে ভাইয়ার সাথে প্রেম এর সম্পর্ক করিয়ে বিয়ে দেয়। একদিকে বাসায় অশান্তি, তাঁর উপর আমাদের বাসায় মায়ের ছোট মামার ছেলে নাসিরকে বাসায় রাখে। তাঁর ছোট মামাও বাসায় আসে। আমি তখন ভাইয়ার মানুসিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে মাকে বলি। সে হাঁসে, নাসির ভাইয়াকে বলে মা ছেলের সাথে সেক্স করে।ভাইয়া আরও অসুস্থ হয়ে যায়। আমাদের পরিবারে কোন দিন আমরা মাইয়ের কাছেও বসিনি, তাকে জরিয়েও ধরিনি।
আমি আমার মাকে সাজাদপুরের বাসায় প্রথম জড়িয়ে ধরি। যখন সে আমাকেউ মেডিসিন খাইয়ে পাগল করে সেই সময় তাকে বেশী বোকা দেই, শরীরে হাত তুলি। এই জন্য তাকে জড়িয়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছিলাম।
বড় ভাইয়া, সেলিম রেজা, ভাইয়া এইসএসসি পাশ করার পর আমার বাবা ঢাকা ভর্তি করাতে চেয়েছিলেন, মায়ের মেঝমামার ছেলে সেলিম রেজা , যাকে আমরা লিটন মামা বলে জানি, সে আরটিসান এর একজন পার্টনার, ফ সি এ করেছে। মায়ের বাড়ির পরিবারের কাছে শুনেছি তাকেও আমার বাবা পড়ার খরচ দিয়েছে। সে বড় ভাইয়াকে তখন ঢাকা ভর্তি করতে দেয়নি, গ্রাম থেকে ডিগ্রি করে ঢাকা আসতে বলেছে। বাবাকে মেরে ভাইয়া কে ঢাকা লিটন মামার কাছেই দেয় আমার মা। বড় ভাইয়াকে দিয়ে সেই সময় মার্কেটিং এর কাজ করায়। মায়ের পরিবার বলে সেলিম হকারের কাজ করে। ঠিক আছে হকারের কাজ করে তবু তাঁর সাথে চালাকি করে তাদের অন্য বোনের মেয়েকে কেন বিয়ে দিল?
এরপর আমার নির্যাতন এর কাহিনী বলব। একটু অপেক্ষা করুন।
চলবে
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩০