ভাটারা থানাঃ
রিক্সা ওয়ালাকে প্রথমে উত্তর বাড্ডা থানায় যেতে বললাম, সে দেখি রামপুরার দিকে নিয়ে যায়। এ দিকে রাস্তা প্রায় ফাঁকা, অন্ধকার হয়ে আসসে। তখন রিক্সা ঘুরায়ে ভাটারা থানায় নিতে বললাম।
থানায় নিজের পরিচয় দিলাম। প্রথম ডিউটি অফিসার মাস্ক পড়তে বলে অন্য আরেক অফিসার এর রুম এ পাঠালেন। উনি উনিফরম পরা ছিলেন না। আমি উনাকে বাসার কথা বললাম, অফিসার বললেন গুলশান থানায় যান।
আমিঃ এত রাতে(রাত ৮;৩০ কি ৯;০০ হবে) একটা মেয়ে কীভাবে থানায় যাবে। আপনারা নিয়ে যান। তাছাড়া ওখানে গেলে বলবে এ থানা নয়, অন্য থানায় যান।
অফিসার ঃ আপনি টাকা দেন।
আমি ঃ আমি পালায়ে এসেছি। টাকা কীভাবে আনবো।
অফিসার ঃ একজনকে হ্যান্ড সানিটাইজার দিতে বলনেন।
নেওয়ার সাথে সাথে হাতে আমার মশা কামরাতে শুরু করল।
আমি আমার কাকাদের কাছে যেতে চাইলাম। উনারা ফোন দিতে বললেন। আমি উনাদের কাছে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দিতে বললাম।
এর পর আমার মা এসে হাজির, থানার অনেকেই আসলো। থানা অনেকটা নিরব ছিল। সবার সাথেই আমি কথা বলে যাচ্ছিলাম। কয়েকজন বড় অফিসার কথা বললেন। কেউ টাকা নিয়ে এসেছিল। যাক এভাবে ভোর হোল। ভোরের দিকে আমি কথা বলিনি। ওরা ছিল কারো পাঠানো। ওরা থানায় অনেক চিৎকার , চেঁচামেচি করছিলো। আমার মা আসার পর থেকেই তাঁর সাথে যেতে বলছিল। রাতে আমার মা থানায় তাদের সাথে খেল। সকাল হলে আমার মায়ের মেঝো বোনের জামাই, সৎ পুলিশ আমাকে উঠিয়ে নিয়ে আসলো, সাথে আমার বড় ভাই ছিল। আমার ভাই কে ওরা ব্যাবহার করে।আমি বুঝি না এই পুলিশ যার আমার চেয়ে কয়েক বছরের ছোট মেয়ে আছে , সে কীভাবে এমন কাজে জড়িত। আমাদের পুলিশ, বিভিন্ন প্রশাসনে এধরনের অসৎ লোক বসে আছে। রাষ্ট্র কিছুই বলছে না। রাষ্ট্রের ঘুম কবে ভাঙবে।
চলবে
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৪০