
ছবি-নেট থেকে নেয়া
দেখেছো বন্ধু ,এই শহরের দেয়াল জুড়ে,
শত হাজার কবিতা ছাপানো হয়েছে আজ,
যেন দেয়ালগুলো জীবন্ত হয়ে উঠছে মুহূর্তেই,
দেখ বুকের ক্ষতগুলো দেয়াল বেয়ে কেমন ঝড়ছে!
দেখেছো তুমি শহরের রাজপথগুলো?
তাজা তরুণ , বৃদ্ধ,শিশুদের রক্ত দিয়ে সেজে উঠে ছিলো সে জুলাই।
বাতাসে বারুদ ,রাবার বুলেট, টিয়ার শেলের মোহিতে
ওঁরাও লুটিয়ে পরে চির নিদ্রায় চলে গেছে।
কিন্তু আমি ,এখনো বেঁচে আছি সাক্ষী হয়ে,
একটি বিপ্লবের।
তুমি জানো বন্ধু ,অশ্রাব্য কাহনে শহরের কানগুলো
পঁচে গিয়েছিল একেবারে।
কিন্তু এখন ,এই শহর শুধু প্রাণের কথাই বোঝে
আর মানুষের প্রাণ সে তো মনুষ্যত্বের সাথেই চলে।
পশুর থাবায় না বিংশ শতাব্দীর ৫২,৭১ থেমেছিল
না একবিংশ শতাব্দির ২৪ থামবে।
এত কিছুর পরেও তুমি দেখবে একদল লোক
তাচ্ছিল্যের আশ্রয়ে নিজেদের বিষিয়ে তুলছে।
এসো বন্ধু, দেখো তোমার চোখ বেঁধে দেই তুমিও স্পষ্ট দেখবে।
দেখবে তুমি দেখলেই এ শহর ,ও শহর ,সারা দেশ ,সারা বিশ্ব দেখবে।
প্রিয় বন্ধু ,তুমি চিনে রাখো সাঈদকে
বুক পেতে ছেলেটি বলেছিল অধিকারে বাঁচতে চাই।
তুমি মুগ্ধকেও ভুলে যেও না।
পানি লাগবে পানি বলে যাচ্ছিলো শেষ অবধি ছেলেটি ।
এ রকম আরো শত শত শহীদের গল্পে আজ দেয়াল
সগৌরব।
তোমাকে আশ্চর্য করবো চলো আরো একটু সামনে,
ছেলেটির নাম সামির বয়স ১১ বছর ,
এক চোখের ভেতর দিয়ে গুলি ভেদ করে দেয়াল ছুঁয়ে গেছে গুলি
আর রিয়া গোপ তো ছাদে উঠেছিল খেলতে
মাত্র সাড়ে ৬ বছর বয়স তার
তাঁকেও প্রাণ দিতে হলো।
তুমি কখনও শুনেছো একটি জনবহুল শহরে
হেলিকল্পটর দিয়ে সাউন্ড গ্রেনেড,
আর গুলি ছোঁড়ার কথা ?
আমরা দেখেছি ,আমরা মরেছি, আমরা আর ছাড় দেবো না।
তাদের আমরা কখনই ক্ষমা করবো না।
সাথে দেশপ্রেমী বলে বলে যারা দেশকেই দেখেনি তাদের আমরা সাথে রাখিনি ,রাখবও না।
তাই বলছি,বন্ধু চলো পথে নামি ,প্রশ্ন রাখি,
আগামীর কোমড়ে কেন বাঁধবে কেউ দড়ি ?
বন্ধু সময় এখনি এসো একত্রে দেশ গড়ি।
তুমি আমি।
সা।হ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




