গতকাল রাত থেকে নিজেকে রাহাত হিসেবে কল্পনা করছি । আজ সকালে ওঠেও সেই ভাবনা তাড়া করে ফিরছে । আমার ওপর জ্বীনের আছর পড়েনি, মোস্তফা শরীফের ‘তামস’ উপন্যাসের আছর পড়েছে । প্রথমে ভেবে ছিলাম পোলাপান মানুষ ( মজা করে লিখছি, উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক) রহস্য উপন্যাস কী আর লিখবে? নীহারঞ্জনের কীরিটি রায়ের কথা মনে পড়েছে । একসময় দিনরাত এক করে পড়েছি । নিজে নিজেই চিন্তা করতাম খুনি বা অপরাধী কে? একবারও আমার ধারণার সাথে মিলতো না । মিলবেই বা কী করে? যাকে সবচেয়ে বেশী সন্দেহ করতাম, সে-ই দেখা যেতো নির্দোষ । আর যাকে ভেবেছি, ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানে না, সে-ই নাটের গুরু । সে রকম জমানো রহস্য উপন্যাস কী শরীফ লিখতে পারবে? পড়তে শুরু করার পর দেখছি ছোকড়া তো তুখোড় লেখে।
.
শরীফ আমাকে দিয়ে থুক্কু রাহাত আজিমকে দিয়ে শেষ পর্যন্ত কী ভাবে উদার-হৃদয়, সজ্জন, সংস্কৃতিবান আলী আশফাকের মৃত্যু রহস্য ভেদ করে, তা না জেনে আমি আজ ওঠছি না । ( অবশ্য বউয়ের অনুরোধ বা আদেশ নাজিল হলে আমার সাধ্য নেই ‘তামস’ নিয়ে বসে থাকি; অনেকটা সামরিক আইনের মতো।)
.
ইতিমধ্যেই আমি (রাহাত) দুইজনের সাথে কথা বলেছি । একজন বদরুল সাহেব । নেভীতে ছিলেন । আলী আশফাক সাহেবের প্রতিবেশি ও দাবা খেলার সঙ্গী । বেশ কিছু তথ্য তার কাছ থেকে সংগ্রহ করলাম । এরপর চলে গেলাম আশফাক সাহেব যেখানে খুন হয়েছেন, মির্জাপুরের সেই নির্জন স্থানে । সেখানে দেখা পেলাম ওসি রকিব হোসেনের সাথে । কথা হলো । তবে তেমন কিছু জানা হলো না ।
.
তাই বিস্তারিত জানতে ফিরছি ‘তামস’-এ ।
আপনিও কী জানতে চান কে আশফাকের খুনী?
তা হলে আর দেরী কোন; চলে যান ‘আলোর ভুবন’ – এর স্টলে, ৬১৮।
আর ঘরে বসে বইটা পেতে চাইলে রকমারি.কম তো আছে-ই।
.
মো. শামছুল ইসলাম
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪২