যে যুক্তি দেখিয়ে—রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম—বাতিল করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে সেই একই যুক্তি দেখিয়ে কিন্তু—রাষ্ট্রভাষা বাংলা—ও বাতিল করে দেয়া যায়।দেশে মুসলিম ছাড়াও অন্য ধর্মের লোক যেমন আছে তেমনি বাঙালী ছাড়াও অন্য জাতিগোষ্টীর লোকও আছে। চাকমা-মারমা-সাওতাল-বিহারীসহ যারা অন্য ভাষায় কথা বলে তাদের অধিকারের কথা কেউ বলছে না কেন?
রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকে না, ধর্ম থাকে ব্যক্তির—এইটা যদি যুক্তি হয় তাহলে রাষ্ট্রের কোন ভাষা থাকাও উচিৎ নয়। কারন রাষ্ট্র কখনো কথা বলে না। কথা বলে ব্যক্তি। কিন্তু এক্ষেত্রে আদালত—উল্টো চলো—নীতি অবলম্বন করছেন। রাষ্ট্রভাষা বাংলা বাতিল না করে উল্টো সর্বস্তরে বাংলা চালু করার রুল জারী করেছেন!
সর্বক্ষেত্রে ইসলাম চালু করার রুল জারী করলে তো সেক্যুলার বুদ্ধিজীবিরা প্রতিবাদে ফেটে পড়তো—এখন তারা চুপ কেন? প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক—রাষ্ট
্রভাষার ক্ষেত্রে এক আইন আর রাষ্ট্রধর্মের ক্ষেত্রে আরেক আইন কেন?জাতীয় ফল, জাতীয় ফুল, জাতির জনক, জাতীয় কবি, জাতীয় পশু—ইত্যাদি থাকতে পারলে জাতীয় ধর্ম বা রাষ্ট্রধর্ম কেন থাকতে পারবে না?উত্তরটা খুব সিম্পল। যেখানে ইসলাম নেই সেখানে সেক্যুলারদের কোন মাথাব্যথা নেই।
যেখানেই ইসলাম সেখানেই চুলকানি। আর যেখানে ইসলাম নাই সেখানে কোন চুলকানিও নাই।.ইসলামকে তারা কি পরিমান ভয় পায় এবং ইসলামের প্রতি কি পরিমাণ বিদ্বেষ পোষন করে এখান থেকেই তা পরিস্কার। কিন্তু তারা জানে না—তাদের এইসব ষড়যন্ত্র থেকেই ইসলামের সত্যতা আরো বেশি করে প্রমানিত হয়।সত্য সবচেয়ে বেশি বাধা এবং প্রতিকূলতার সম্মুখীন হবে—ইসলামের এই কথাটাই যেন আজ অক্ষরে অক্ষরে ফলে যাচ্ছে।
ইসলামের বিরুদ্ধে অমুসলিম ও নাস্তিক এবং মুনাফিকদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে কুরআনে যেসব ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছে সেগুলোরই নিখুত বাস্তবায়ন আজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।মুনাফিকদের যে বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে—এদেশের মুসলিম নামধারী বামপন্থী বুদ্ধিজীবি ও মিডিয়াগুলোর কার্যকলাপের সাথে তা কি হুবহু মিলে যাচ্ছে না?