মাটির এ শরীর
মাটিতেই যাবে মিলে।
তবু্ও কেন জানি
এ অভাগা, অট্টালিকা গড়ে।
টাকার পাহাড়
তারে হাতছানি দেয়।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, পাঁচ বার সিজদা
রাম, নাম সীতা
ভুলে সে টাকার জপ ধরে।
তার নামাযের সময় হয় না কভু,
কিন্তু, কোথাও কারো ভুল যদি একবার পেয়েছে শুধু
অমনি, মশাই হতচ্ছাড়া ঘড়ির কাঁটাটাও যেন জোড়ে জোড়ে ছুটে।
মদ, মোবাইলে হাবিজাবি, আজেবাজে ছবি।
এভাবেই চলতে থাকে তার জীবনের গাড়ি।
হঠাৎ কোন একদিন সে গাড়ি
কোন এক অজানায় এসে থামে।
কেউ একজন শুধায়,
তোমার নামতে হবে এই
ইস্টিশনে।
তখন সে মাটির দেহ
খাবি খায়।
সে অট্টালিকা, সাথে নিতে চায়
কাড়ি কাড়ি টাকা, সোনা, দানা।
কেউ একজন আবার শুধায়
একলা, শুধু একলা যেতে হবে
সেখানে।।
মাটির এই দেহ যাবে
শুধু সেই মাটির ঘরেতে।
মাটির শরীর কী ভীষণ রকম
ছটফটায়!
সে কেমন করে যাবে সেথায়।
কেমন করে থাকবে?
এই মাটির ঘর,
এই মাটির শরীর
খুব যে অচেনা লাগে!
কেমন করে ফুরালো এ পথ,
কেমন করে ফিরলো সে
বাড়ি?
সে কি জানতো
তাকে চলে যেতে হবে এতো
তাড়াতাড়ি?
যদি জানতো তবে সে
ঠিক জিরিয়ে নিতো
শৈশবের সেই বটতলার ছায়ায়,
ছাড়তো না মায়ের আঁচল,
বাবার কাঁধে ঘোরা।
সে চেঁচায়।
জোরে চেঁচায়
শৈশবের বন্ধুরা সব
কোথায় গেলি তোরা?
বিলে বিলে
আমন চারা
আহা! কি যে মায়া!
এই যে মাটি
কত খাঁটি!
এই মাটিরই
এই দেহটা
পেয়েছে শুধু অবহেলা।
আজকে তারে জড়িয়ে ধরে
ফিরতে হবে পরপারে।
আহা!সবই মায়া, মিথ্যে, ছলনা
যাই সে ফেলে এসেছে পিছে।
মিছে, সবই মিছে!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:১৮