নারী দিবস আসলে ব্লগ, ফেইসবুকে পোস্টের ধুম পরে যায়। এতে যে মেয়েটা যৌতুকের জন্যে নির্যাতিত হয়ে ধুকে ধুকে মরছে, বা যেই মা মরা মেয়েটাকে বড় ভাইরা সম্পদের জন্যে নির্যাতন করছে, বা যে মহিলাকে তার বর নিয়মিত নির্যাতন করছে, কারণ মেয়েটার যাওয়ার কোন যাওয়া জায়গা নেই। এমনকি বরের কাজের মেয়ের সাথে ইন্টারকোর্স করার ইচ্ছে হলে সে তার স্ত্রীকে বলছে তুমি বাইরে যাও আমরা একটু
সময় কাটাবো, বা ঐ যে এক মেয়েকে তার মা বাবা রাতের একটা বাজে তার স্বামী থেকে উদ্ধার করে আমাদের বাসায়এনেছিলো।যাকে কত মাস ধরে না জানি তার বর গায়ে কাপড় জড়াতে দেয়নি। তার যোনি পথে কিসব ঢালা হতো, আমি তখন অবিবাহিতা ছিলাম। ম্যাচিউরড কথাবার্তা এড়িয়ে যেতাম। মেয়েটা আমাদের বাসায় যে কয়দিন ছিলো। সে আমাকে কান্না করে বলতে চাইতো। আমি ভালো করে শুনিনি কখনো। সেই মেয়ে অনেক বছর পাগল ছিলো। তাকে নিয়ে শেকল পরিয়ে রাখা হতো। এদের মতো শত শত হাজার হাজার নারীর এসব দিবসে কি আসে যায়?
ভারতে আম্মাকে নিয়ে যখন শেষবার গেলাম, দেখলাম কত বড়ো বড়ো স্থান আছে। যেখানে একটা ক্যানসার রোগী বা একজন
অসহায় মানুষ তার অসহায়ত্বের কথা বলে আশ্রয় নিতে পারে।
আমাদের দেশে কেউ ধুকে ধুকে মরলেও কোন আশ্রয় নেই।
আমি নিজেও ভুক্তভোগী ছিলাম। একটু আশ্রয় খুঁজে বেরিয়েছি অনেক।এইসব দিবস আমার কোন কাজে আসেনি।
এইসব দিবসে গলা ফাটানো মানুষগুলিও আমার কোন কাজে আসেনি।
তাদের ফোন দিয়েও কোন হেল্প পাইনি।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৫১