
চিত্রঃ ৫-৭ মিনিটের ব্যবধানে বৃষ্টির অবস্থা
লন্ডনের বৃষ্টির মাঝে ক্লাসে যাওয়া
আমি বৃষ্টি এমনিতে খুবই পছন্দ করি। তবে লন্ডনের সবচাইতে জঘন্য দিক হল এই বৃষ্টি। শীতের ভেতর বৃষ্টির কারণে চারিদিক স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকে। ঝর ঝর মেঘের বাদল ধারা টাইপের অনুভূতি আসেনা এই বৃষ্টিতে। কারও বাসার নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় আপনার ওপর এক পসলা পানি পড়লে যেরকম লাগে- সেরকম একটা অনুভূতি হয়। তাও সমস্যা ছিল না। সমস্যা হল বৃষ্টি কখন কিভাবে কোন সময়ে হানা দিবে বোঝা যায় না। ছাতা কেনার আগে একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি বৃষ্টি হচ্ছে। ক্লাস আছে একটু পর কিন্তু ছাতা নেই। বৃষ্টির মধ্যেই দোকানে যেয়ে ছাতা কিনে রুমে ফিরলাম। তখনো বৃষ্টি হচ্ছে। ক্লাসে যাওয়ার জন্য নিচে নেমে দেখি বৃষ্টি শেষ। রোদ উঠি উঠি করছে। ছাতা সবসময় সাথে রাখতে হবে। অনেককে দেখি বিশাল বিশাল ছাতা নিয়ে চলে।
বৃষ্টির ভেতর দিয়ে সাধারণ মানুষজন এমনভাবে চলাচল করে যেন কিছুই হয়নি। বৃষ্টির মত এত বিশাল ঘটনাকে তারা তোয়াক্কাই করেনা। হাঁটছে, বৃষ্টি নামলে হঠাৎ স্যুট টাইয়ের ওপর রেইনকোট পরে আগের মত স্বাভাবিক গতিতে ভদ্র ভাবে হাঁটতে থাকে। বাংলাদেশে বৃষ্টি আসলে আশেপাশের মানুষের মধ্যে একটা পাগলামি ভাব দেখা যায়। নারীপুরুষ বয়সভেদে দৌড়াদৌড়ী শুরু করে। অনেকে থমকে দাঁড়ায়। বৃষ্টিতে ভিজে একটু আনন্দ নেয়। অনেকে সরকারকে গালি দেয়। কিন্তু এদের ভেতর সেই পাগলামি ভাবটা নেই। এখানকার বৃষ্টিতে কাব্য ও আনন্দ নেই। দুঃখ, বিষাদ অথবা রাগও নেই। তারা এই পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এই অভ্যস্ততা খুবই বিরক্তিকর ও ভয়ের বিষয়।
আগের পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
Writer's ID
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




