লেখাগুলো যখন কবিতার রূপ নিচ্ছিল
তখনই তুমি হানা দিলে সদর দরজায়।
শব্দের গায়ে তাই রক্তের দাগ লেগে আছে।
যেসব শব্দ ঘুমিয়ে ছিল চুপচাপ বাক্সবন্দী ডায়রীর পাতায়
তারাই আজ বেরিয়ে পড়েছে অবলীলায় - মাঠে ময়দানে
তুচ্ছ বিষয়ে অংশ নিচ্ছে কাব্যহীন ঝড়ো বক্তৃতায়।
নিরীহ পংক্তিমালা - যারা গান হতে চেয়েছিল
শ্লোগানে শ্লোগানে তারা কাঁপিয়ে দিচ্ছে আদিগন্ত নগরী।
শব্দের আর দোষ কি বলো
ওরা তো জানত না তুমি আসবে আর
কি তোমার প্রভাব আমার কবিতায়।
তুমি যে আসবে আমিও বুঝিনি কখনো
তাই পড়ার টেবিলে ছিল রজনীগন্ধা
তাই গোধূলিতে আমি হাঁটতে যেতাম
তাই কবিতা লেখার চেষ্টা করেছি বাইশটি বছর।
তোমাকে পাবার পর দ্বিতীয় কোনও কবিতার প্রয়োজন নেই আর।
এবার মাটিতে লাঙ্গল চেপে ধরে
বলব "হাঁট হাঁট, হাঁট হাঁট"
আর জীবন ভরিয়ে দেব নবান্নের উৎসবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


