কোনো কার্পন্য নেই।
সবাই কবিতা দিয়ে যাচ্ছে উপহার
অবলীলায়। বাস - ট্রাক - রাস্তার ধূলো
পথজুড়ে আবর্জনার ম্যুরাল - সব্বাই
গেঁথে দিচ্ছে একের পর এক তীক্ষ্ণ সংলাপ।
দোকানীর চোখে দেখি শেয়ারবাজারের
পংক্তি, ডিভিডেন্ড - মুনাফা - দরপতনের হাহাকার,
প্রশান্তির কথা বলে যায় টিমটিমে মোমবাতি - ঘর্মাক্ত লোডশেডিং।
সর্পজীবীনি রাস্তার মোড়ে কামনার ট্রাফিক সিগন্যাল সহসাই
হেডলাইট ভেঙ্গে দেয় নীরবতা;
কবিতা - শুধু আসতেই থাকে অবিরল
প্রতিটি অসুখ - সভ্যতা - রাজাকার - লেফট-রাইট
শুঁড়িখানা - জ্বলন্ত সিগারেট - একেকটা
জীবন্ত কবিতা হয়ে যায়।
তবুও,
তোমাকে ছকে ফেলতে পারিনা
ছন্দে ছন্দে মারাত্মক গোল বেঁধে যায়
মাঝরাস্তায় পড়ে যাই অহেতুক, ক্ষীণকায়
শব্দের গাঁথুনী ভেঙ্গে পড়ে; চীৎকার করে
তেড়ে আসে সকাল বিকাল সন্ধায়।
শ্রান্তি, দ'লে দ'লে আসে মহাকাল
রাগী স্বরে বলে যায় - "যা কিছু তোমার নয়,
ছিলনা, হবেনা কখনো, কোন্ অধিকারে
ছুঁতে গেলে হায় !"
বহ্ণিশিখা শুধুই পোড়ায়
যে বা যারা ভুল করে হাতে নিতে চায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১১:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




