জ্যোৎস্নার ছায়ায় চাঁদের কলঙ্ক পেয়ে অন্ধকারে বাড়িয়েছিলো দু্থহাত।
সাবেরার বুকে রজনীগন্ধার গন্ধ ছিলো-
অথচ রাতের অন্ধকারে কামনার পোকা চুষে খায় সমস্ত ভাণ্ডার
বিবাগী পথিক ঘর ছাড়ে, শূন্যতার অন্য পারে পাতে আরেক সংসার।
শূন্যতার অবসান গুণে গুণে হাফ ছেড়ে বাঁচে মাটির মানুষ
ভরাট নদীর বুক তবু নিঃশেষে নিঃশেষ হয়
হৃদয়ের খরতাপে উবে যায় সমপন্নের জল;
লোকালয়ের শূন্যতা নেড়ে কেঁদে ওঠে সুসবুজ বন
সমস্তের বালাখানায় হঠাৎ বেজে ওঠে শূন্যতার খাঁ-খাঁ।
সমপন্নের পথে হাত ধ'রে নিয়ে গিয়েছিলো যে জ্ঞানবান তাপস
তে-মাথার মোড়ে এসে সে-ও মেপে নেয় নিজ পথ
শূন্যতার চিহ্ন হ'য়ে বিবাগী পথ টেনে নেয় না-পাওয়ার ভূঁয়ে।
কোলাহলে শূন্যতার সুর, ব্যসততায় শূন্যতার বাসা
আঁধারে ও আলোয় শূন্যতা, ভরাট-শূন্যতায় শূন্যতা
সন্ধ্যার আঁধার চিরে রাস্তার ল্যামপ-পোস্ট ছড়িয়ে দেয় শূন্যতার আলো
চৈতন্যের অন্তরাত্মা জুড়ে পিউ কাঁহা বলে কেঁদে ওঠে আঁধারের পাখি।
বিমর্ষ স্বপ্নের সাথী এই প্রার্থিত মানুষ
শূন্যতায় হাত তুলে যতোই পূর্ণতা খোঁজে
বালকের হাতে ধরা ঘুড়ির মতোন
অনিচ্ছার ফানুস হয়েই বারবার উড়ে যায় শূন্যাকাশে।
২৭.১০.৮৪
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



